মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার কালা রংবাজকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। শখের বশে নাম রেখেছেন কালা রংবাজ। এই কালা রংবাজের বয়স ৩৩ মাস। কোরবানি ঈদের বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কালা রংবাজকে। মালিক এই করোনাকালে দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা। কালা রংবাজের সঙ্গে ফ্রি রয়েছে একটি রাম ছাগল।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ফুকুরহাটি ইউনিয়েনের কান্দাপাড়া গ্রামের মো. হারুন মিয়া কালা রংবাজকে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালন-পালন করেছে। মোটাতাজাকরণে কোনো প্রকার ওষুধ সেবন করানো হয়নি। এর শারীরিক গঠন অনুসারে আনুমানিক ওজন হবে ৩৫ থেকে ৪০ মন। কালা রংবাজের মালিক মো. হারুন মিয়া জানান, গোলড়ার এক গরু ব্যাপারীর কাছ থেকে সে ২ লাখ টাকা দিয়ে কালা রংবাজকে কিনে। এরপর তাকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করে তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম। সে ৩৩ মাসে কালা রংবাজকে কলা, ভূষি, কাঁচাঘাস, ডাল, ভূট্টা, খইল, শুকনো খড় ও সুজি ও সাগু খাবার খাইয়ে ৪০ মণ ওজন বানিয়েছেন। এবার কোরবানির ঈদের কালা রংবাজকে যে ক্রেতা কিনবে গরুর সঙ্গে একটি ২৬ হাজার টাকার রাম ছাগল ফ্রি দেয়া হবে বলে জানান। মো. হারুন মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশে রংবাজকে আমি যত্ন করেছি। তাকে দিনে দু’বার গোসল, সময়মতো খাবার দিয়েছি। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে বাতাসের ব্যবস্থা করেছি। তবে নামেই কালা রংবাজ, সে আসলে খুবই ঠাণ্ডা কালা রংবাজ।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, সাটুরিয়া উপজেলায় এবার কোরবানির জন্য প্রায় ১০ হাজার কোরবানির পশু রয়েছে। এ উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। তবে করোনাকালে খামারি ও কৃষকরা কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তিনি বলেন, কারোনাকালে বড় বড় পশুগুলো হাটে না নিয়ে অনলাইনে বিক্রি করার জন্য পশুর মালিকদের অনুরোধ করেন। কালা রংবাজসহ বড় পশুগুলো সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যম ও ইউটিউবে প্রচার করার জন্য মালিকদের উৎসাহিত করেন।