× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বলেশ্বর নদে জেলেদের ইলিশ লুট, কোস্টগার্ডের দুই সদস্য প্রত্যাহার

বাংলারজমিন

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

শরণখোলার সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদে কোস্টগার্ডের দুই সদস্য জেলেদের মারধর করে নৌকা থেকে জোরপূর্বক ইলিশ লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে বলে জেলেরা জানান। এ ঘটনায় বুধবার সুপতি কন্টিনজেন্টের জড়িত ওই দুই সদস্যকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে কোস্টগার্ড। পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে জেলে এমাদুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে সুপতি কন্টিনজেন্টের মো. কাওছার ও মো. ইব্রাহিম নামের দুই কোস্টগার্ড সদস্য তার মাছ ধরা ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে টহল দেয়ার কথা বলে বলেশ্বর নদীতে নিয়ে যায়। এরপর রাত ১২ টা থেকে ভোর হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন জেলে নৌকায় গিয়ে মারধর করে নগদ টাকাসহ ইলিশ মাছ জোর করে নিয়ে আসে।

কোস্টগার্ড সদস্যরা এ সময় পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের খলিল শিকদারের ছেলে রুবেল শিকদারের নৌকা থেকে ৮০ টি ইলিশ, মো. লতিফ খানের ছেলে বাবুল খানের নৌকা থেকে ৫টি ইলিশ, বেলায়েত খানের ছেলে রনি খানের নৌকা থেকে ১১টি ইলিশ, চাঁন মিয়া খানের ছেলে রুবেল খানের নৌকা থেকে ৫টি ইলিশ, হামেজ ঘরামীর ছেলে সোরাপ ঘরামীর নৌকা থেকে ৫টি ইলিশ মাছ লুট করে নেয়। এ সময় আলতাফ আকনের ছেলে আব্বাস আকনের নৌকায় মাছ না পেয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা ধার্য্য করেন তারা। এছাড়া জেলেদের নৌকা প্রতি ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে বলে ভুক্তভোগী ওই জেলেরা জানান।

পরদিন সকালে জেলেরা মাছ লুটের ঘটনাটি বন বিভাগ ও কোস্টগার্র্ড পশ্চিম জোনের মোংলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের জানান। খবর পেয়ে সেখান থেকে কোস্টগার্ডের একটি দল ঘটনাস্থল সুপতি কন্টিনজেন্টে এসে জেলেদের কাছ থেকে শুনে ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন। পরে তারা জেলেদের ইলিশ মাছ ফেরত দেন এবং কোস্টগার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বস্ত করেন।
এদিকে জেলে এমাদুল হক ওই দুই সদস্যকে চিহ্নিত করে ঘটনাটি ফাঁস করে দিলে তাকে বেদম মারধর করে আহত করে কোস্টগার্ড সদস্যরা। বর্তমানে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এমাদুল সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মাছ লুটের ঘটনাটি বুধবার সকালে জেলেরা তাদের জ্ঞানপাড়া ও চান্দেশ্বর টহলফাঁড়ির বনরক্ষীদের কাছে জানান। পরে ওই দুই টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলেদের মহাজনরা তাকে ফোন করে এ ঘটনা জানান।
জানতে চাইলে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটিও কাজ শুরু করে দিয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর