× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গৃহবধূর জীবনের মূল্য ২ লাখ টাকা

বাংলারজমিন

চলনবিল (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তানজিলা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই গৃহবধূর জীবনের মূল্য নির্ধারণে সালিশী বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে ওই গৃহবধূর জীবনের দাম না মেটায় অবশেষে ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে গৃহবধূর শ্বশুর।
একই ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে তানজিলার সাথে লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের মোজদার হোসেনের ছেলে বাবুল হোসেনের (২৮)’র সঙ্গে ১ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পরেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। যা নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়া-বিবাদ মারপিটের ঘটনা চলে আসছিল।
এরই জের ধরে গত বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়া মাঝিড়া গ্রামের লালুয়া পাড়ায় বাবুলের স্ত্রী তানজিলা খাতুনের মৃত্যু হয় ।
এদিকে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন তানজিলার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বললেও তানজিলার বাবা রেজাউল করিম অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এনিয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে তানজিলার লাশ বাড়িতে রেখেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তানিজলার বাবার বাড়ির লোকদের থানা পুলিশকে না জানিয়ে এবং মামলা না করে লাশ দাফন নিয়ে এক সালিশী বৈঠক শুরু হয়।
এদিকে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আছালত হোসেন সালিশী বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, মেয়েপক্ষ ২ লাখ টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু ছেলে পক্ষ গরিব হওয়ায় দেড় লাখ টাকা দিতে চাইলেও পরে ৫০ হাজার টাকা ব্যবধানের কারণে সালিশী বৈঠকে মীমাংসা হয়নি।
কিন্তু লাশের খবর থানায় না জানানো প্রসঙ্গে ওই ইউপি সদস্য আরো বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সব জায়গায় যেতে হয়। অপরদিকে তাড়াশ থানার ওসি মাহবুবুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ সময় পরে গতকাল সকালে গৃহবধূর শ্বশুর তাড়াশ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। এর পর পরই গৃহবধূর বাবা তাকে জানান তিনি থানায় এসে তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার মামলা করবেন। ইতিমধ্যে পুলিশকে লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট লেখাকালীন গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি চলছিল।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর