× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তথ্যে গড়মিল, আমতলীতে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা পায়নি বাছাইকৃত অর্ধেক পরিবার

বাংলারজমিন

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

মুজিববর্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার নগদ অর্থ সহায়তা বরগুনার আমতলীর হতদরিদ্র পরিবারের ৬ হাজার ৫৪৪ জন মানুষের কাছে এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি। জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম-তারিখ, সিম রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন তথ্যের গড়মিল থাকায় এ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত রয়েছেন তারা।
জানাগেছে, সারাদেশের ন্যায় এ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ১১ হাজার ২৯৯ জন হতদরিদ্র পরিবারকে বাচাই করে তালিকাভুক্ত করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। মুজিববর্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তালিকাভূক্ত এসকল হতদরিদ্র প্রতিটি পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঈদ উপহার নগদ ২৫০০ টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিন্ধান্ত নেয়া হয়। ঈদুল ফিতরের পূর্বেই তালিকাভূক্তিদের স্ব-স্ব মোবাইলে এ টাকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও কিছু কিছু পরিবার তা পেলেও এখনো অর্ধেক হতদরিদ্র পরিবারগুলো নগদ অর্থ সহায়তা পাননি। ফলে এসব হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে চরম অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। বাচাইকৃত পরিবারগুলোর অভিযোগ, বাচাইকৃতদের তালিকায় তথ্যে গড়মিল থাকা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খাম-খেয়ালীপনা ও ভূল তথ্য দেয়ার কারনে তারা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার নগদ ২৫০০ টাকার অর্থ সহায়তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, মুজিববর্ষে সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তা ঈদ উপহার প্রদান কর্মসূচির বাচাইকৃতদের তথ্য সংশোধনের জন্য সংশোধনীর তালিকা এসেছে। পৗরসভার বাচাইকৃত তালিকাভূক্ত ১ হাজার ৪৮৫ জনের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৬০ জনের তথ্য সংশোধন করা হবে।
এছাড়া একই কারনে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গুলিশাখালী ইউনিয়নের তালিকাভূক্ত ১ হাজার ৬০২ জনের মধ্যে থেকে ৯৫৭ জন, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০২ জনের মধ্যে থেকে ৭২৮ জন, কুকুয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৪০২ জনের মধ্যে থেকে ৮২২ জন, হলদিয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৬০২ জনের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৯৭ জন, চাওড়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০৩ জনের মধ্যে থেকে ১০৪৮ জন, আমতলী সদর ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০১ জনের মধ্যে থেকে ২৮৪ জন ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০২ জনের মধ্যে থেকে ৫৪৮ জনের তথ্য সংশোধন করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ, সিম রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন তথ্যের গড়মিল থাকায় প্রধানমন্ত্রী দেয়া এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এসব উপকারভোগীরা। তথ্যে গড়মিল থাকা উপকারভোগীদের তথ্য নতুনভাবে জন-প্রতিনিধিরা যাচাই-বাছাই করছেন। যাচাই- বাচাইয়ের কাজ শেষ হলে আবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা প্রেরণ করা হবে।

এদিকে বাচাইকৃত তালিকায় নাম থাকা এমন অনেকেই জানান, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তারা এখনও কোন টাকা পাননি। তারা আরো জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মতারিখ, সিম রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য তথ্য সঠিক থাকলেও তাদের মোবাইলে এখন পর্যন্ত কোন টাকা আসেনি। এমনকি সংশোধিত তালিকায়ও তাদের নাম নেই। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটাই শংকিত তালিকাভুক্ত এসব উপকারভোগীরা।

চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, ভুলক্রুটি সংশোধন করে আবার তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাচাইকৃত তালিকাভুক্তরা বঞ্চিত হবেন না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, তালিকাভুক্ত যেসব উপকারভোগীর তথ্যে ভূল আছে তা সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। বাচাইকৃত উপকারভোগীরা যাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নগদ অর্থ সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হন সেই বিষয়টি আমরা দেখছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর