আগামী অক্টোবরের মধ্যে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা বিতরণের প্রত্যাশা করছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মী (সিইও) এলবার্ট বৌরলা সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) থেকে টিকা উৎপাদনের অনুমোদন পেতে পারে ফাইজার। তখন থেকেই টিকাটি বিতরণ শুরু করতে পারবেন বলে জানান তিনি। বৌরলার আরো জানান, ১লা জুলাই প্রকাশিত প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় টিকাটি ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চলতি বছর ১০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এখানে উল্লেখ্য, ফাইজার টিকাটি তৈরি করছে জার্মান ফার্সাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সঙ্গে মিলে। ফাইজারের সিইও বৌরলা জানান, তারা ইতিমধ্যে টিকাটির বাণিজ্যিক উৎপাদন নিয়ে একাধিক দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
টাইম ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বৌরলা জানান, চলতি মাসের শেষের দিকে টিকাটির একটি বড় আকারের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এই পরীক্ষায় ১৫০টি স্থানে ৩০ হাজার মানুষের উপর টিকাটি প্রয়োগ করা হবে। তিনি জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় টিকাটি প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর দেহে দ্রুত ও শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিতে সফলতা দেখিয়েছে। এই প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসটিকে মেরে ফেলতেও সক্ষম হয়েছে।
তবে বৌরলার জানান, এখনো কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। চূড়ান্ত পরীক্ষার শেষেই নিশ্চিত করে বলা যাবে, কবে নাগাদ টিকাটি প্রস্তুত হতে পারে। তবে তিনি প্রত্যাশা করেন যে, বিদ্যমান ফলাফল থেকে আশা করা যায় যে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই টিকাটির কার্যকারিতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো তথ্য পাওয়া যাবে। তেমনটি হলে অক্টোবরের মধ্যেই এটি এফডিএ’র অনুমোদন পেতে পারে।
বৌরলার বলেন, আমরা ও এফডিএ যদি টিকাটি নিরাপদ ও কার্যকরী বলে নিশ্চিত হতে পারি তাহলে আমাদের কাছে তখনই বিতরণের মতো টিকার ডোজ থাকবে। অর্থাৎ, এফডিএ অনুমোদন পাওয়ার আগ থেকেই উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে ফাইজারের। যদিও বৌরলার জানান, এর আগে এমনটি তারা কখনোই করেননি। তিনি জানান, খুব শিগগিরই টিকাটির উৎপাদন শুরু করবেন তারা। তবে এর শিশির জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাদের।