× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুর মরদেহ কবর থেকে তুলে ফেলে রাখা হলো রাস্তায়

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১১ জুলাই ২০২০, শনিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ দিনের এক শিশুর মরদেহ কবর থেকে তুলে রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এজন্যে মাইকিং করে লোক জড়ো করা হয়। শিশুটি আহমদীয়া সম্প্রদায়ের।  বৃহস্পতিবার  সকালে উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম গত ৭ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। স্বপ্নার বাবার বাড়ি ঘাটুরা গ্রামে। কয়েক মাস ধরে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিশুটিকে হাসপাতালে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শিশুটি মারা যায়। ধর্মীয় রীতি মেনে সকাল ৭টার দিকে শিশুটির মরদেহ ঘাটুরা এলাকার একটি সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কিন্তু আহমদীয়া সমপ্রদায়ের হওয়ায় দাফনের ঘণ্টা দেড়েক পর মাইকিং করে মরদেহ কবর থেকে তোলার জন্য লোকজন জড়ো করে আহমদীয়া বিরোধীরা। এরপর মরদেহ কবর থেকে তুলে কবরস্থানের বাইরের সড়কে ফেলে রেখে যায় তারা। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি জানা যায়নি। শিশুটির বাবা সাইফুল ইসলাম জানান, মাইকিং করে আহমদীয়া সমপ্রদায় বিরোধীদের জড়ো করা হয়। এরপর মরদেহ কবর থেকে তুলে কবরস্থানের সীমানা প্রাচীরের বাইরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি আমরাও জানি না। পরে পুলিশি পাহারায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আমাদের সমপ্রদায়ের নিজস্ব কবরস্থানে শিশুর মরদেহ দাফন করা হয়। তিনি আরো জানান, ঘাটুরার কবরস্থানটিতে আমাদের সমপ্রদায়ের লোকজনের মরদেহ দাফন নতুন নয়। অনেক আগে থেকেই এখানে দাফন হয়ে আসছে। যদি তাদের কোনো আপত্তি থাকতো- তাহলে আমাদের বলতে পারতো। তা না করে দুইদিনের একটা শিশুর মরদেহ কবর থেকে তুলে ফেলে দিবে এটা কল্পনাও করা যায় না। সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর বলেন, গ্রামের বাসিন্দা এবং হুজুররা বাধা দিয়েছেন- আহমদীয়া সমপ্রদায়ের কাউকে কবর দেওয়া যাবে না। আমরা গিয়ে দেখি মরদেহ কবরস্থানের বাইরে। পরে কান্দিপাড়া এলাকায় তাদের সমপ্রদায়ের কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর