নবীগঞ্জের কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল ও হতদরিদ্রদের বরাদ্দকৃত মাসিক ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগে তাকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। এর আগে একই অভিযোগে বরখাস্ত হন গজনাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল।
ওদিকে কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসাকে নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে গত ৪ঠা জুন ২৩৯নং স্মারকে প্রেরিত প্রতিবেদন ফেরত পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। ভিজিডির চাল আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনে যুক্ত চেয়ারম্যান মুসার জবাব যাচাইক্রমে মতামত দেয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৫ই জুলাই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্রে ওই নির্দেশনা দেয়া হয়। চেয়ারম্যান মুসার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি শরিয়ত মিয়া। দায়িত্বে না থেকে চাল উত্তোলন, ৮ই মার্চ চাল উত্তোলন করে ২২শে এপ্রিল বিতরণ, সঞ্চয়ের টাকা অনৈতিকভাবে পকেটস্থ করা, তড়িগড়ি করে চাল বিতরণের ব্যবস্থা, ভোরে চাল আমদানিকালে জনতার হাতে আটক এবং প্রশাসনের সহায়তায় বিতরণের ব্যবস্থা নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফেরদৌসীর নেতৃত্বে তদন্ত হয়।
তদন্তে সংযুক্ত চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুসার দেয়া জবানবন্দি গ্রহণ করেনি মন্ত্রণালয়। আলোচিত ওই ঘটনার পরপরই উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।
তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলায় অভিযোগ দায়ের করার সুপারিশ করা হয়। ২৩৯ জন ব্যক্তির নামের তালিকায় অনিয়ম, চার বছর ধরে ভুয়া নামে চাল আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান মুকুল।