× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উপরতলার কেউ জড়িত কিনা খুঁজে বের করতে হবে

প্রথম পাতা

মরিয়ম চম্পা
১১ জুলাই ২০২০, শনিবার

শুধু শাহেদ নয়, তার সঙ্গে উপরতলার কেউ জড়িত কি না সেটা খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। ভুয়া করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট: ইতালির পত্রিকার শিরোনামে বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলে এসেছি স্বাস্থ্যখাতে যে দুর্নীতি সেটা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। স্বাস্থ্যের কেনাকাটা থেকে শুরু করে সর্বত্রই দুর্নীতি। সমপ্রতি করোনাকে কেন্দ্র করে মাস্ক, পিপিই সম্পর্কে অভিযোগ উঠেছে। যারা অভিযোগ করেছে তাদের বদলি করে দেয়া হয়েছে। আর সেই অভিযোগ এখন দেখেছি দুদক তদন্ত করছে। তিনি বলেন, করোনাকে কেন্দ্র করে নিশ্চয়ই এখানে কোনো কঠিন সিন্ডিকেট আছে যারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যুক্ত। হয়তো আরো উপরের দিকে কারা যুক্ত জানি না।
যারা এ রকম কাজগুলো করতে দিচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। করোনার মতো এত স্পর্শকাতর রোগ নিয়ে শুধু দেশে নয়, বিদেশে পর্যন্ত রেমিটেন্স আয়ের পথ আমরা বন্ধ করে দিচ্ছি। আমাদের বিমান যে সুযোগ পেয়েছিল বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সে সুযোগও প্রবঞ্চিত হলো। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইতালি ইতিমধ্যে বলে দিয়েছে বাংলাদেশ থেকে কোনো বিমান তারা যেতে দেবে না। সুতরাং নানাভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অথচ এরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এখনো কিন্তু দেখেছি রিজেন্ট হাসপাতালের ঘটনায় যে ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত তিনি নন। ধরা পড়েছে অফিসের কর্মচারীরা। কিন্তু যে মূল ব্যক্তি তার সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা উপরতলার যদি কেউ জড়িত থেকে থাকে এগুলো কিন্তু সামনে আসেনি। আমার মনে হচ্ছে স্বাস্থ্যখাতের এই দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে পরে বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলা করা খুব কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদের ঘনিষ্ঠ ছবি প্রসঙ্গে মেনন বলেন, ছবির বিষয়টি গুরুত্ব দেই না। কারণ এই ধরনের মানুষের কাজই হচ্ছে উপর তলার মানুষের সঙ্গে ছবি তোলা। কিন্তু দলীয়ভাবে কোনো কমিটির সঙ্গে সে যদি সংযুক্ত হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে আমাদের চিন্তার বিষয়। অর্থাৎ আজকে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে এ ধরনের লোক অনুপ্রবেশ করে যাচ্ছে। শুধু এখন নয়, আগের ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে তারা একই ধরনের তৎপর ছিল। এ ব্যাপারগুলো সম্পর্কে সতর্ক হতে না পারলে পরবর্তীতে রাজনৈতিক দল সম্পর্কে মানুষের যে ধারণা এটা নষ্ট হয়ে যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর