ফেনীর সোনাগাজীর বাসিন্দা করোনার উপসর্গ জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মো. আজিজুল হক (৪৭) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর ২দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে জানানো হলো করোনায় মো. আজিজুল হকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত বুধবার সকালে ঢাকার বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সোনাগাজী পৌরসভার তুলাতলী এলাকার বাসিন্দা মো. আজিজুল হক কুমিল্লা আদর্শ সদর দক্ষিণ উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের ভাতিজা মো. রাকিব জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে তার চাচা সমবায় কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জ্বরে ভুগছিলেন। পরে জ্বর বেড়ে যাওয়ায় গত ৬ জুলাই সোমবার তিনি কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে ঢাকায় বাসায় যেয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। দু’দিন পর বুধবার সকালে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে তাৎক্ষনিক চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওইদিন বিকেলে স্বজনরা মরদেহ ফেনীর সোনাগাজী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
সোনাগাজী পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর নুর নবী বলেন, সমবায় কর্মকর্তা মো. আজিজুল হকের শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায় পরিবারের সিদ্ধান্তে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। পরে স্বল্প পরিসরে জানাযা শেষে মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাশ বলেন, মৃত্যুর পর ওই কর্মকর্তার মরদেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষায় করোনার পজেটিভ রিপোর্ট পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানান, ফেনীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী রয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৯ জন সোনাগাজীর, ৬ জন ফেনী সদর’র, ৪ জন দাগনভূঞা ও ২ জন ছাগলনাইয়া উপজেলার বাসিন্দা।