ফুটবল ও ক্রিকেট- এ দু’টি ডিসিপ্লিনের ৬০ শিক্ষার্থী নিয়ে ১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। ডিসিপ্লিন সমপ্রসারণ হতে হতে এখন হয়েছে ১৭টি। ফুটবলের নারী বিভাগ চালু হয়েছে কয়েক বছর আগে। দেশের খেলাধুলার সবচেয়ে বড় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন সংযোজন হতে যাচ্ছে নারী হকি। নারী হকির প্রথম বছরের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে ১৫ কিশোরীকে। যাদের ভর্তি শুরু হওয়ার আগে হানা দেয় করোনাভাইরাস। যে কারণে ১৯শে মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য হকির ছেলেদের বিভাগে ২৩ জন নির্বাচন করে বিকেএসপি।
দেশের ৮ বিভাগে প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে ৪৫ জন মেয়ে বাছাই করেছিল বিকেএসপি। তাদেরকে এক সপ্তাহ ট্রায়াল দেয়া হয় বিকেএসপি’র জিরানীস্থ প্রধান ক্যাম্পাসে। সেখান থেকে ১৫ জনকে নির্বাচন করা হয় ভর্তির জন্য। যে ১৫ জন নারী হকি বিভাগে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন ষষ্ঠ শ্রেণি, ২ জন অষ্টম শ্রেণি এবং ১২ জন সপ্তম শ্রেণিতে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কেটে গেলেই এদের ডাকা হবে ক্যাম্পে। বিকেএসপি নারী হকি বিভাগে প্রথম ভর্তির অপেক্ষায় যারা, তারা হলেন- দিনাজপুরের অর্পিতা পাল, বিথী রানী সরকার, আনারকলি আঁখি, বিনা এক্কা, ঝিনাইদহের রিভা খাতুন, নাদিরা, কিশোরগঞ্জের সানজিদা আক্তার মনি, ময়মনসিংহের সুমাইয়া আক্তার সীমু, ঐশ্বর্য সরকার শেভা, চট্টগ্রামের ফাতেমাতুজ জোহরা, হিমাদ্রী বড়ুয়া সুখ, নীলাদ্রী বড়ুয়া নীল, নেত্রকোনার শারিকা সাফা রিমন, রাজশাহীর মহুয়া ও সাতক্ষীরার কেয়া পারভীন।