ঘরের মাঠে টানা ৫১ টেস্ট পর ইংল্যান্ড দল থেকে ছিটকে গেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাউদাম্পটন টেস্টে ৩৪ বছর বয়সী এই পেসারকে একাদশে রাখা হয়নি। সবশেষ ২০১২ সালে ব্রড একাদশের বাইরে ছিলেন ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেই। অথচ টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪৮৫ উইকেট শিকারি তিনি। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও নেন ১৪ উইকেট। অ্যাশেজে ২৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা বোলার। শেষ দুই সিরিজে ভালো পারফর্ম করার পরও একাদশে জায়গা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ব্রড। তিনি বলেন, ‘আবেগী মানুষদের মধ্যে অবশ্য আমি পড়ি না।
তবে একাদশ থেকে বাদ পড়ার পর সময়টা আমার কঠিন যাচ্ছে। স্রেফ হতাশা বললে আসলে কমই বলা হবে; আমি হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং বিধ্বস্ত। গত দুই বছর আমি সেরা পারফরম্যান্স করেছি। অ্যাশেজে ভালো করেছি। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও।’
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে চলমাম টেস্টে ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণে জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে রয়েছেন গতিময় দুই বোলার জফরা আর্চার ও মার্ক উড। ব্রড মনে করেন তারা যোগ্য বলেই একাদশে স্থান পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যারা মাঠে নেমেছে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। ক্রিস ওকস, স্যাম কারেনও একাদশে খেলার দাবি রাখে। ফাস্ট বোলিংয়ের এই গভীরতা ও শক্তি দেখতে পারাটা দারুণ। ইংলিশ ক্রিকেট আরও ভালো হয়ে ওঠার ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ এটিই।’ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নির্বাচকরা তরুণদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন এটা বুঝতে পেরেছেন ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার। তাকে নিয়ে দলের ভাবনা জানতে কথা বলেছেন নির্বাচকদের সঙ্গে। ব্রড বলেন, ‘আমি নিজের ভবিষ্যৎ এড স্মিথের (ইসিবির নির্বাচক) সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি বলেছেন, ১৩ জনের দল বেছে নেওয়ার সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন এবং এই দল বেছে নেওয়া হয়েছে পুরোপুরিভাবেই এখানকার উইকেটের কথা ভেবে। আমাকে নিয়ে দলের চিন্তা ধারাও রয়েছে বেশ ইতিবাচক।’