ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশের সাংবিধানিক আদালত বিলুপ্ত করেছেন আফ্রিকার দেশ মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতা। দেশে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতায় তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। অন্যদিকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন বহু বিরোধী দলীয় নেতাকে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, এ বছরের শুরুর দিকে সেখানে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। কিন্তু সেই নির্বাচনের ফল উল্টে দেয়া হয়। এরপর থেকেই সেখানে বিতর্ক ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর ফলে শুক্রবার সেখানকার বিভিন্ন শহরে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখা দেয়। তা এক পর্যায়ে সহিংস হয়ে ওঠে।
শনিবার রাজধানী বামাকোতে সংঘর্ষ হয়। এদিন দীর্ঘ দিনের নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যু, অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থা এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে রাস্তায় নেমে পড়েন বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবি করেন। শুক্রবারের বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। তারা এদিন রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ভবন দখল করে নেয়। এসব অস্থিরতায় ৪ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দু’দিনে বিরোধী দলীয় ৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার ‘জুন ৫ মুভমেন্ট- র্যালি অব প্যাট্রিওটিক ফোর্সেস (এম৫-আরএফপি)’ নামে পরিচিত একটি জোটের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন শুরু করেছে। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট কেইতা সাংবিধানিক আদালতের বাকি সদস্যদের লাইসেন্স বাতিল করেছেন, যাতে আগামী সপ্তাহে নতুন বিচারক নিয়োগ দেয়া যায়। শনিবার রাতে তিনি টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে বলেন, সংস্কার করা এই নতুন আদালত আমাদেরকে দ্রুত সাহায্য করতে পারবে। যার ফলে পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে যে বিরোধ আছে তার একটি সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ৭৫ বছর বয়সী ক্ষমতায় আসেন ২০১৩ সালে।