চলতি বছরের শেষের দিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কাস্টমস ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বৃটেন । সে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, সীমান্তে আসন্ন পরিবর্তনের খরচ সামলাতে ৭০ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর একটি তহবিল বরাদ্দ ঘোষণা করেছে বৃটিশ সরকার। বন্দর ও স্থলসীমান্তে নানা অবকাঠামো নির্মাণ, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবস্থা স্থাপন ও কর্মী সংশ্লিষ্ট খরচ বহনের জন্য এ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সীমান্তে আসন্ন পরিবর্তনের মধ্যে নতুন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পোস্ট ও ৫০০ অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ পরিকল্পনা রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ কার্যালয় বিষয়ক মন্ত্রী মাইক্যাল গোভ জানান, এই তহবিল বৃটেনকে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সুযোগ ছিনিয়ে নিতে সাহায্য করবে। যদিও বিরোধী দল লেবার পার্টি ব্রেক্সিট ট্রানজিশন পিরিয়ড বা ব্রেক্সিট পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়ছে বলে অভিযোগ করেছে। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে বেরিয়ে গেছে বৃটেন। বর্তমানে ১১ মাসব্যাপি একটি ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্যে রয়েছে দুই পক্ষ।
এই সময়ের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও ইইউ’র কাস্টমস ইউনিয়নে বৃটেনের সদস্যপদ বিদ্যমান থাকবে।
সম্প্রতি একটি ফাঁস হওয়া চিঠিতে, বৃটিশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিজ ট্রুস ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে বৃটেনের বন্দরগুলোর ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরই, সীমান্ত বিষয়ক তহবিলটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন পরিকল্পনা অনুসারে, যেসব বন্দরে অতিরিক্ত তল্লাশি সামলাতে বিদ্যমান অবকাঠামো প্রসারণের জায়গা নেই সেগুলোর জন্য দেশের সীমান্তের ভেতরে নতুন তল্লাশিচৌকি বসানো হবে। এই পরিকল্পনা কেবলমাত্র ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।
নতুন পরিকল্পনায়, বন্দর ও অন্তর্দেশিয় সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৭ কোটি ইউরো। এছাড়া। তথ্য-প্রযুক্তি ও কর্মী নিয়োগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো।