× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চমেক হাসপাতালে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার

 করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাই ফ্লো ন্যাজাল দিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আর তার আগমনকে ঘিরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে ডাক্তার-পুলিশসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১২ই জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল তখন চমেক হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমও উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ভুইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনায় আহতদের মধ্যে পাঁচলাইশ থানার এসআই খালেক, ডিবির দুই পুলিশ সদস্য ও আমি রয়েছি। এছাড়া ৫-৬ জন ডাক্তার রয়েছেন। আহতরা সবাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জহিরুল ইসলাম ভুইয়া জানান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল রোববার সকালে চমেক হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দুটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোল দিতে আসেন। চমেক হাসপাতালের পরিচালকের হাতে এসব তুলে দিয়ে চলে যান তিনি। এরপর হাসপাতালে ছাত্রলীগের একপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল, আরেক পক্ষ মেয়র আ জ ম নাছিরের নামে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত খোরশেদ বিন মেহেদী, ইমন সিকদার, অভিজিৎ দাস, ফাহাদুল ইসলাম, হুজাইফা বিন কবির, কনক দেবনাথ, সাজেদুল ইসলাম ও মিনহাজ রহমানের নাম পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সানি হাসনাত প্রান্তিক, ডা. ফয়সাল আহমেদ, ডা. মাসুম বিল্লাহ মাহিন, মাহতাব বিন হাসিম ও ডা. নুর মোহাম্মদ তানজিম আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। চমেকের ৫৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমন শিকদার বলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী হাসপাতাল পরিদর্শনে আসছেন শুনে আমরা ৭-৮ জন মিলে নেতাকে রিসিভ করি। সেখানে গিয়ে দেখি মেয়র মহোদয়ের অনুসারী ৩০-৩৫ জন আগে থেকেই আছেন। তারা শুরুতে আমাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। পরে নেতা চলে যাওয়ার পর অতর্কিতভাবে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। আগেও শিক্ষা উপমন্ত্রী হাসপাতালে এলে তারা একই রকম ঘটনা ঘটিয়েছিল। অন্যদিকে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের ৫৭ তম ব্যাচের যেসকল ছাত্র চিকিৎসক হয়েছেন তাদের শপথ অনুষ্ঠান ছিল আজ। মন্ত্রী মহোদয় আসার পর আমাদের পক্ষ থেকে তাকে রিসিভ করা হয়। তবে দুঃখের বিষয় তিনি ইদানীং মেডিকেলে এলে উনার পেছনে হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামিসহ একাধিক মামলার আসামি ঘোরাফেরা করে। হাবিবুর রহমান দাবি করেন, মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘিরে রেখে কয়েকজন মেডিকেল শিক্ষার্থী ও বহিরাগত সন্ত্রাসী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ ৫-৬ জন ডাক্তার আহত হয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর