× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রিজভীর প্রশ্ন- /নেপথ্যের গডফাদাররা কেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে?

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) জুলাই ১৩, ২০২০, সোমবার, ১:২৪ পূর্বাহ্ন

রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধারদের ‘নেপথ্যের গডফাদাররা কেনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার দুপুরে করোনা প্রতিরোধে লক্ষণভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সাহেদের (মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম) কেলেঙ্কারী, জেকেজির চেয়ারম্যানের (সাবরিনা) কেলেঙ্কারী- এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক।

রিজভী বলেন, আজকে যখন চারিদিক থেকে আওয়াজ ওঠেছে যে, রুই-কাতলা ধরা পড়ছে না, তখন গতকাল নামমাত্র একজন (ডা. সাবরিনা) ধরা পড়লেন। আমরা জানতে চাই, এর পেছনে গডফাদার কারা? এর পেছনে সেই ক্ষমতাশালী লোক তারা কারা? কৈ তারা তো ধরা পড়ে না। সাহেদের সঙ্গে, জেকেজির সঙ্গে আরো যারা জড়িত, তাদেরকে তো আপনারা ধরতে পারবেন না। কারণ ওরা ক্ষমতাশালী লোক।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ডে চলছে আওয়ামী লীগ।
সেই সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে তাদের মধ্যে মানবতার কোনো কাজ নেই, তাদের জনগনের পাশে দাঁড়ানোর কোনো কাজ নেই। জনগণের পকেটের টাকা দিয়ে যে ত্রাণ কেনা হয়েছে, সেই ত্রাণ আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসা থেকে, গ্যারেজ থেকে, পুকুর থেকে, মাটির তলা থেকে পাওয়া গেছে। এভাবে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মাস্কের দুর্নীতি কে করেছে? মন্ত্রীর ছেলে। করোনার জন্য জীবন বাঁচানোর মেসিন ভ্যান্টিলেটর- সেই ভেন্টিলেটর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কে? ক্ষমতাসীন দলের লোক অথবা মন্ত্রীর আত্বীয়-স্বজন। আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা নেই, যার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের সম্পর্ক নেই। ছবি তুলেছেন সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য্ অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে তাদেরকে করোনা টেস্ট করার জন্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি যখন অনুমোদন দেয় সেটা তো সরকারেরই অনুমোদন।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের দমন নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি একটি মাসুম বাচ্চা মেয়ে মাহমুদা পলি তাকে রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে এসছেন। কেনো? সে ফেসবুকে লিখেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। এখনো সে কারাগারে।ছাত্রদলের সাবেক নেতা টিটো হায়দারকে ৪-৫দিন আগে তুলে নিয়ে গেছেন। সবাই দেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে গেছে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এইচ ড্যাব)-এর উদ্যোগে কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবিলায় মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি শফিকুল আলম নাদিমের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব একেএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সম্মিলিত হোমিওপ্যাথিক জোটের সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মুজিব উল্লাহ, মুজিব, গাজী নাজিমউদ্দিন, কাশেমুর রহমান খান, আশরাফ হিলালী, শাহ মোয়াজ্জেম সোহেল, ফয়সাল মেহবুব মিজু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর