এদিকে সাহসিকতায় জুড়ী নেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মিজানুর রহমানের। কৃতিত্বের সঙ্গে বিপদসঙ্কুল অনেক কাজ করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। কিন্তু শেষমেশ করোনার কাছে হেরে গেলেন তিনি। সোমবার ভোররাতে ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান সিএমপি’র ডিসি মিজানুর রহমান। দুপুরে এই তথ্য জানান সিএমপি’র মুখপাত্র ও গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ। মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান, ডিসি মিজানুর রহমানের শরীরে করোনা ধরা পড়ে ২৩শে জুন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ভর্তির পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৯ই জুলাই থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
শেষ পর্যন্ত ২১ দিন করোনার সঙ্গে লড়ে সোমবার ভোররাত ৩টা ৪১ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সিএমপি ওই কর্মকর্তা জানান, করোনা মহামারির পর থেকেই নগরবাসীকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখেন ডিসি মিজানুর রহমান। জনসাধারণের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, লকডাউন কার্যকর, সচেতনতা সৃষ্টি, অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, ত্রাণ বিতরণসহ আরো বিভিন্ন কার্যক্রম করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু করোনার কাছে হেরে গেলেন তিনি। করোনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা এই প্রথম মারা গেলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত নির্ভীক এই পুলিশ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সিএমপি পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ ও সমবেদনা জানিয়েছেন।