× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘আমাদের মনোজগৎ এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার

জুনের মাঝামাঝিতে মাঠে ক্রিকেট ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। এতে অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়েছে ক্রিকেটারদের। চার মাস ধরে ক্রিকেটের বাইরে থেকে এখন প্রতিটি দিনই অসহ্য হয়ে উঠছে মুমিনুল হক সৌরভের কাছে। আশায় আছেন, যেকোনো সময় হয়তো ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে  নেমে পড়ার সংকেত পাবেন। কিন্তু বাস্তবতাও মানতে হবে। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেনি। সবার আগে জীবন।
তাই আরো কিছুদিন কষ্ট করতে তার আপত্তি নেই। কিন্তু দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে থাকাটা  ক্রিকেটারদের মনোজগৎ এলোমেলো করে দিচ্ছে বলেই মনে করেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক। তাই ফিটনেস, স্কিল নিয়ে ভাবনার সঙ্গে  মানসিকভাবে টিকে থাকার লড়াইটাও তার কাছে বড়। দৈনিক মানবজমিনকে মুমিনুল হক বলেন, ‘গেল মাসের ১৫ তারিখ থেকেই অপেক্ষায় আছি। মনে হচ্ছে আজই হয়তো মাঠে যেতে পারবো। কিন্তু কী আর করার! করোনার সংক্রামণ কমেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এমন অবস্থায় মাঠে যাই কী করে। সত্যি কথা বলতে কী এখন আমাদের মানসিকভাবে টিকে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ। ফিটনেস, স্কিল, এসব বিষয় মাঠে কিছু দিন সময় দিলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মনোজগতে যে প্রভাব ফেলছে তা থেকে বের হতে অনেক সময় লাগবে। হ্যাঁ, এই মুহূর্তে বিসিবি মনোবিদ নিয়োগের যে চিন্তা করেছে তা খুবই ভালো। আমিও চাইবো মনোবিদের সঙ্গে সেশন করতে। এটি ভালো হবে আমাদের জন্য।’
গত ১৯শে মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত রয়েছে। ৪ মাস ধরে ক্রিকেটাররাও গৃহবন্দি। নিজেদের বাসায় ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন তারা। কিন্তু মাঠে নেমে ব্যাটিং বা বোলিং করার সুযোগ নেই। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বিসিবি বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে পারেনি। ঝুঁকি নিতে রাজি নয় বিসিবি। অন্যদিকে একের পর এক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এক দিকে ফিটনেস, স্কিল অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষতি। সব মিলিয়ে এলোমেলো বাংলাদেশের ক্রিকেট। কিভাবে বের হবে এমন বাজে অবস্থা থেকে? মুমিনুল বলেন, ‘দেখেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট শুরু করেছে। কিন্তু এখনো অন্য দেশগুলো শুরু করতে পারেনি। এমন নয় যে অন্য দেশগুলো খেলছে আর আমরাই কেবল বসে আছি। তাই যারাই ক্রিকেট শুরু করবে নতুনভাবে করতে হবে। আমাদের প্রতিটি ক্রিকেটারের মানসিকতা এমন হতে হবে যেন নতুন করে শুরু করছে। ফিটনেস ও স্কিল এগুলো আমাদের অভ্যাসের ব্যাপার। মাঠে নামলে হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু ঠিকই ফিরে পাবো নিজেদের। কিন্তু আপনি যদি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তাহলে আপনার সময় লাগবে অনেক বেশি।’
বাংলাদেশ এখনো টেস্ট ক্রিকেটে বেশ দুর্বল। তার ওপর চলছে টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের মিশন। মুমিনুলের নেতৃত্বে টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচেই হার দেখেছে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি বাতিল হয় করোনার কারণে। শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল সেটিও স্থগিত হয়েছে। এই ধাক্কা সামলানো সহজ হবে না এটি ভালো জানেন মুমিনুল। তবে তার বিশ্বাস, ঘুরে দাঁড়ানো যাবে । মুমিনুল বলেন, ‘শুধু আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে তা নয়। আমি মনে করি ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে না। হয়তো সময় লাগবে একটু। আরেকটা বড় ব্যাপার হলো যে সময়টা চলে গেছে তা আমরা ফিরে পাবো না। তাই বলছি মাঠে নামলে আমাদের শুরুটা হবে একেবারে নতুনের মতোই।’ ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে শক্ত থাকতে পরামর্শ দিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘এটি আসলে ক্রিকেটারদের নিজের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথা বলেন তাহলে সেটি ভিন্ন।
কারণ তারা প্রফেশনাল ক্রিকেটে ১০/১৫ বছর কাটিয়েছে। প্রফেশনাল ক্রিকেটাদের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। সবার যে প্রভাব পড়বে তা নয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে। নেগেটিভ চিন্তা করা যাবে না। মনে করা যাবে না সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
মাঠে ফেরা নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘মাঠে ফেরা নিয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত নয়। বিসিবি আমাদের অভিভাবক। তারা যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটি মেনে নিতে হবে। আমরা জানি পরিস্থিতি ভালো হলে, সংক্রামণ কমে এলে বিসিবি আমাদের জন্য মাঠ উন্মুক্ত করে দিবে। আপাতত অপেক্ষা করতে হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর