রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমের প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিন বছর আগে আমদানি করা থ্রি-হুইলারের রুট পারমিট করে দেয়ার নামে এই ব্যবসায়ীর ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় শাহেদ।
এ ঘটনার পর ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম মানসিক দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার রিপোর্ট জালিয়াতিসহ শাহেদ করিমের নানা প্রতারণা ফাঁস হওয়ার পর নগরীর ডবলমুরিং থানায় প্রতারণা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার রাতে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন মো. সাইফুদ্দিন মহসীন নামে এক ব্যক্তি। মামলায় শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি ও শহীদুল্লাহ নামে এক সহযোগীকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর টায়ার ও যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মেগা মোটরসের মালিক। শহীদুল্লাহ ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সিএমপির ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমের নামে প্রতারণার মাধ্যমে ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমসহ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি বলেন, মামলার এজাহারে সাইফুদ্দিন দাবি করেন মেসার্স মেগা মোটরসের ঢাকার ব্যবসায়িক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শহীদুল্লাহর মাধ্যমে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে মো. শাহেদ ওরফে শাহেদ করিমের সঙ্গে জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পরিচয় হয়।
আলাপচারিতায় শাহেদ মেসার্স মেগা মোটরসের আমদানি করা থ্রি-হুইলার ঢাকা সিটিতে চলাচলের রুট পারমিটসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে মেগা মোটরসের কাছ থেকে নগদ ৩২ লাখ এবং চেকের মাধ্যমে ৫৯ লাখ টাকা নেয়।
এরপর অনুমোদনের কাগজপত্রও এনে দেন শাহেদ। যা যাচাই করে দেখা যায় ভুয়া। এরপর টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে শাহেদ প্রভাব খাটিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনায় জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়ে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।