সাভারে অটোরিকশাচালককে গলাকেটে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। গতকাল সকালে সাভার পৌর এলাকার উত্তর জামসিং মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত অটোরিকশাচালক মিন্টু শেখ (৩৫) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পানপাড়া গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। সে সাভার পৌর এলাকার ছায়াবিথি মহল্লায় ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। থানা পুলিশ জানায়, ভোরে একদল দুর্বৃত্ত ওই অটোরিকশাচালকের গলায় ছুরিকাঘাত করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারলে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই অটোরিকশাচালককে উদ্ধার করে দ্রুত সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল হক রনি জানান, দুর্বৃত্তরা ওই অটোরিকশাচালককে হত্যা করে পালিয়ে গেলেও তার রিকশাটি ঘটনাস্থলেই ফেলে রেখে গেছে। এছাড়া নিহতের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ পাওয়া গেছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে। তবে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
বানিয়াচংয়ে নিহত ছাত্রলীগ নেতার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
মখলিছ মিয়া,বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে: হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নিহত ছাত্রলীগ নেতার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গত সোমবার হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে বিকাল ৩টার দিকে এ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এ সময় বানিয়াচং থানার প্রতিনিধি হিসেবে এসআই আব্দুস ছাত্তার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর নিহত ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফকে তার নিজ বাড়ি বাগাহাতা নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার পর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ইতিমধ্যে নিহত আব্দুর রউফের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে মূল ঘটনাটি কি। তবে পুলিশ স্বপ্রণোদিতভাবে এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কিছু জড়িত রয়েছে কি না এবং আব্দুর রউফের পরিবারের লোকজনের দেয়া বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিমকে কাজে লাগানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাতে আব্দুর রউফ বাড়িতে না ফেরায়, পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন এবং খোঁজ করে কোথাও পান নাই। গত রোববার সকালে জোয়াইল্লা নদীর তীরে বাগাহাতা ফুটবল মাঠে নিহত রউফের লাশ এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়। পরবর্তীতে বানিয়াচং থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইম হাসান পুলক নিহত আব্দুর রউফের মায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, পারিবারিক বিরোধ ছিল প্রতিবেশীদের সঙ্গে, এই কারণে তার ছেলেকে হত্যা করা হতে পারে।