× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তলিয়ে যাচ্ছে কেন্দুয়ার খাল-বিল-পুকুর

বাংলারজমিন

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
১৪ জুলাই ২০২০, মঙ্গলবার

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বারি বৃষ্টি না হলেও উপজেলার মোজাফরপুর ও কান্দিউড়া ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের খাল-বিল ও হাওড়ের পানি ফুঁসে উঠেছে। পানি ঢুকছে গ্রামে গ্রামে।  সোমবার (১৪ জুলাই) ওইসব এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে বন্যার পানি বাড়িতে উঠার ছুঁই ছুঁই অবস্থা। গ্রামে রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু পুকুরের পাড় ডুবে মাছ ভেসে গেছে। প্রতিনিয়ত পানি বেড়েই চলছে। মোজাফরপুর ইউনিয়নের মামুদপুর, হারুলিয়া, চারিতলা,সুলাকান্দা,বিকাল বাজার এবং কান্দিউড়া ইউনিয়নেরবিঞ্চপুর, জালালপুর, রাগবপুর, তাম্বুলীপাড়া গ্রামের ঢুকেছে। এসব গ্রামের অনেক বাড়ীর দুয়ারে বন্যার পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থা। গ্রামের সাথে সংযোগ সড়ক গুলো তলিয়ে গেছে।
হারুলিয়া গ্রামের হাজী লিটন বলেন,তার এলাকার মামুদপুর,হারুলিয়া,চারিতলা গ্রামের চারপাশে বন্যার পানি থৈ থৈ করছে। অনেক পুকুরের পাড় ডুবে মাছ ভেসে গেছে। রাস্তঘাট পানি নিচে। চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রামবাসী। এই ইউনিয়নের বিকাল বাজারের ব্যবসায়ী জানু আহমেদ জানান,তাদের বাজারে পানি উঠেছে। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের দোকানের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে। কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিঞ্চপুর গ্রামের সাজু জানান তাদের গ্রামে পানি ঢুকেছে এবং কয়েকটি বাড়িতে পানি উঠেছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকেছে এবং পুকুরের পার ডুবে মাছ ভেসে যাওয়ার খবর আসছে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে এমন সঠিক তথ্য না দিতে পারলেও ৫০ থেকে ৬০ পুকুর তলিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের কর্মীরা তালিকা তৈরীর কাজ করছেন বলে জানান তিনি। আউস ধান ক্ষেত,পাট ক্ষেতসহ ফসলি জমি তলিয়ে গেলেও উপজেলা কৃষি অফিস এব্যাপারে কিছুই জানে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান জানান,এখনতো আউশ আবাদ ও বীজতলা ছাড়া তেমন কোন ফসল নেই। এখন পর্যন্ত কোন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমন তথ্য তার হাতে নেই। মোজাফরপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, তার এলাকায় কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। একটি আশ্রয়ন প্রকল্পে পানি ঢুকেছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের কোন কোন ঘরে পানি ঢুকেছে। তার এখন খাটের ওপর বসবাস করছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন খন্দকার বলেন,কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকার খবর পেয়েছি। এসব এলাকার খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, জেলার ৬টি উপজেলায় বন্যায় পানিবন্ধী রয়েছে বহু মানুষ। ওইসব উপজেলার নদীর পানি বিপদসীমাও ওপর দিয়ে বইছে। আর এর প্রভাবে কেন্দুয়ার খাল-বিল ও হাওড়ের পানি ফুঁসে উঠেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর