× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গোপালপুরে ঢালাইয়ের পরদিনই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

বাংলারজমিন

এবিএম আতিকুর রহমান, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) থেকে
১৫ জুলাই ২০২০, বুধবার

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সড়ক সংস্কারের নামে ইট, বালু, সিমেন্ট, বিটুমিন সহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় পিচ ঢালাইয়ের পরদিনই হাত দিয়ে  কার্পেটিং তুলে ফেলছেন স্থানীয়রা। কাজের শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছিলেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একটি মহল নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য লোক দেখানো দায়সারা কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু স্থানীয় লোকজন মিলে হাত দিয়েই নতুন এই রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলছে। সড়কের কার্পেটিং তোলার এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এম আর আর আই ডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের গোলাবাড়ি-রাজ গোলাবাড়ি সড়ক সংস্কারে ৬৫ লাখ টাকার কাজ পান স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বৈরান এন্টারপ্রাইজের জিল্লুর রহমান ওরফে শিহাব। কাজ পাওয়ার পরই সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ ওঠে এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
এতে স্থানীয়রা সড়কের কাজ সঠিকভাবে করার আহ্বান জানালেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার গুরুত্ব। না দিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করে চলে যায়। এতে স্থানীয় জনসাধারণ ক্ষিপ্ত হয়ে সড়কের কাজ করার পরের দিনই হাত দিয়েই কার্পেটিং তুলে ফেলে। হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলার দৃশ্য মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয়রা হাত দিয়েই কার্পেটিং তুলে ফেলছেন। আর নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে আলোচনা ও সমালোচনা করছেন।
উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের গোলাবাড়ির ইউপি সদস্য আবদুল খালেক বলেন, প্রথম থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করছে। এলাকাবাসী সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বললেও ঠিকাদার শোনেনি। পরে স্থানীয়রা হাত দিয়েই সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলেন। ঝাওয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, গোলবাড়ি এলাকায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সড়কের শেষ অংশের প্রায় ২৫ ফুট সড়কে সমস্যা ছিল বেশি। ঢালাই করার পর দিনই সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। পরে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করায় পুনরায় সংস্কার কাজ করেছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে বৈরান এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী জিল্লুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে  বলেন, সড়ক সংস্কারে প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজন সমস্যা সৃষ্টি করেছেন। তারা শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেলেছেন। উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা আবুল কালাম মানবজমিনকে জানান, সড়ক সংস্কার কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। স্থানীয় লোকজন বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এমন কাজ করেছে এবং সেটি ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে। যেটা কাম্য নয়। এতে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর