× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাপুলের বিচার চাওয়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

অনলাইন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) জুলাই ১৪, ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন

কুয়েতে মানব পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের বিচার চাওয়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ও বসতবাড়ি হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত এমপি পাপুল ও সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এমপি পাপুলের সমর্থকদের হামলা ও মামলার ভয়ে এলাকায় আতংকে বিরাজ করছে বলে দাবী স্থানীয়দের।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার খাসেরহাট এলাকার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের চিত্র। এসময় কথা হয়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাইদুর রহমান, আওয়ামী লীগ কর্মী এমরান খলিফা ও আমিনুল ইসলাম বাবুলসহ কয়েকজনের সাথে, এসময় তারা জানান, এ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচার ও অর্থপাচার মামলায় কুয়েতে গ্রেপ্তার রয়েছেন। তার বিচারের দাবী করার জের ধরে  তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর ও লুটপাট করে।  গত ১১ই জুলাই রাতে এ হামলা ও ভাংচুরের নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একদল যুবক। এছাড়া বাজারের আশপাশের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কয়েকটি বাড়িতেও হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
এ হামলা ও ভাংচুর থেকে বাদ যায়নি নারী এবং শিশুও। এ ঘটনায় আলতাফ হোসেনসহ কয়েক শ জনকে আসামি করে মামলা হলেও এখন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন আসামিরা।

ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামা আক্তার,তিনি আক্তার ও রেশমা বেগম, আবদুৃল আজিজ, সিদ্দিক খলিফা ও সেলিম খলিফা জানান, সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের সমর্থকদের হামলা-মামলা ও হুমকি-ধামকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, এমপি পাপুলের বিচার চাওয়ায় আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটায়। এমপি পাপুল মানবপাচার  ও অর্থপাচারে কুয়েতে গ্রেপ্তার থাকলেও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের ইন্ধনে এ হামলা ও ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমপি দম্পতির বিপক্ষে কথা বললে নেমে আসে নানা হয়রানি ও নির্যাতন। টাকার বিনিময়ে এলাকায় লাটিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের।
এ দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র ইছমাইল হোসেন খোকন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জানান, এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তার হলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বিশেষ করে তার স্ত্রীও এমপি। এমপির প্রভাব বিস্তার করে দলীয় কার্যালয় ও  নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা ও ভাঙঙুর চালানো হচ্ছে। টাকা দিয়ে লাটিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। গত কয়েকদিন ধরে এ নির্যাতন চলছে। আর বাড়িবাড়ি জ¦ালিয়ে দেয়ার হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের। এমপি পাপুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। তবে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, ত্রিশ বছর আগে মারাতিয়া কুয়েতি গ্রুপ অব কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ শুরু করেন শহীদ ইসলাম পাপুল। পরে নিজেই হয়ে ওঠেন সেই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র  প্রার্থী হয়ে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। গত ৬জুন মানবপাচার অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতের মুশরেফ শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের সিআইডি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর