বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ মর্নিং বার্ড ডুবে যাওয়া এবং যাত্রী নিহতের ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের দুই ইঞ্জিনচালক ও সুকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- ইঞ্জিনচালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল এবং সুকানি নাসির মৃধা। আজ পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে নৌ পুলিশ ও র্যা ব। এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ জনসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখনো এজহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে মাস্টার জাকির ও গ্রিজার হৃদয় পলাতক রয়েছে।
নৌ পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকা থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের ইঞ্জিনচালক শিপন হাওলাদার ও শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দু’জনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এদিকে, আজ ভোরে বাগেরহাটের বন্দর এলাকায় অবস্থানরত এমভি রাজিব-২ কার্গো জাহাজ থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের সুকানি মো. নাসির মৃধাকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব-৮ এর সদস্যরা।
দুর্ঘটনার সময় লঞ্চটির মাস্টার আবুল বাশার মোল্লার জায়গায় সুকানি নাসির লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
র্যা ব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর জাহাঙ্গীর আলম জানান, লঞ্চ দুর্ঘটনার পর তারা এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে নাসির মৃধার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লঞ্চ দুর্ঘটনা মামলার ৬ নম্বর আসামি সুকানি মো. নাসির মৃধা। তাকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯শে জুন পুরান ঢাকার শ্যামবাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা ছোট লঞ্চ মর্নিং বার্ড ডুবে যায়। এই ঘটনায় ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করে নৌ পুলিশ। মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ ছোয়াদকে প্রধান আসামি করে ৭ জনকে আসামি করা হয়। ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেকসহ এ পর্যন্ত ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।