৮০২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনে প্রায় ৩৮ হাজার গ্রাহকের জন্য মাত্র ১০ জন লাইনম্যান দিয়ে চলছে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাউনিয়া জোনাল অফিস। লোকবল সংকটের কারণে ইলেক্ট্রিশিয়ানদের দ্বারা দেয়া বিদ্যুৎ সংযোগ এতে করে গত এক সপ্তাহে অবৈধ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে প্রাণ গেছে দুইজনের।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, একজন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চাইলে প্রথমে তাকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার পর ওয়্যারিং পরিদর্শক গ্রাহকের ওয়্যারিং দেখে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর সীলসহ একটি মিটার বরাদ্দ হয় গ্রাহকের জন্য। যেটা অফিসের কর্মরত লাইনম্যান নিজে গিয়ে সংযোগ দেয়ার কথা। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লাইনম্যানের পরিবর্তে সমিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন ইলেক্ট্রিশিয়ান বিদ্যুতের খুঁটিতে চড়ে সংযোগ দিচ্ছেন এবং মিটারে বিদ্যুতের সংযোগ শেষে সীল লাগিয়ে দিচ্ছে। এতে করে গত এক সপ্তাহে অবৈধ বিদ্যুৎস্পৃৃষ্টে নিজদর্পা এবং উত্তর রাজীব গ্রামে দুই ব্যক্তি মারা গেলেও কাউনিয়া বিদ্যুৎ অফিসে নেই এর কোনো তথ্য। ইলেক্ট্রিশিয়ান দ্বারা বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা স্বীকার করে কাউনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম নিশিথ কুমার কর্মকার বলেন, কাউনিয়া উপজেলার ৮০২ কিলোমিটার বিদ্যুৎলাইনে প্রায় ২৩ হাজার বাণিজ্যিক, ১৪শ’ সেচ এবং আবাসিক সহ প্রায় ৩৮ হাজার গ্রাহকের সেবা দিতে লাইনম্যান প্রয়োজন ১৭ জন। এর বিপরীতে এই কাউনিয়া জোনাল অফিসে লাইনম্যান আছে ১০ জন। বিলিং রিডার স্বল্পতার কারণে একজনকে দিয়ে চারজনের কাজ করা লাগছে।
যার ফলে আমরা সেইভাবে সেবা দিতে পারি না।
তিনি বলেন, লোকবল সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য এই সপ্তাহ থেকে মাইংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।