× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

বাংলারজমিন

শিবগঞ্জ (চাঁপাই নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ককটেল বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি হচ্ছেন, শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মরদানা আইয়ুব বাজার এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন আহমেদ (৩৫)। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত প্রায় ৯টার দিকে শিবগঞ্জ পৌরসভার মরদানা গ্রামের আইয়ুব বাজার এলাকায় পুকুর পাড়ে একটি কার ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন লোক এসে ঘোরাঘুরির কিছুক্ষণ পরেই ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ সময় মরদানা গ্রামের আইয়ুব বাজার এলাকার সাইফুদ্দিন আহমেদ (৩৫) গুরুতর জখম হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার সময় তিনি মারা যান।
৯নং ওয়ার্ড কমিশনার খাইরুল ইসলাম জেম জানান, আইয়ুর বাজার মোড়ে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে মমিন ও কেরামতের গ্রুপের সঙ্গে মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানি না। শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুল আলম জানান, শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মরদানা গ্রামের আইয়ুব বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমরা যাবার আগে স্থানীয়রা ককটেল বিস্ফোরণে আহত সাইফুদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত প্রায় সোয়া ১২টার দিকে মারা যায়। বর্তমানে লাশ ওখানেই আছে। সংশ্লিষ্ট থানার পক্ষ থেকে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল সকালে নিহত সাইফুদ্দিনের ভাই মুকুল একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। কয়েকজনকে আটক করা হয়ছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে এবং বাকিগুলোকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, মরদানায় দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান কমিশনার খাইরুল ইসলাম জেম ও সাবেক কমিশানার আব্দুল সালামের গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে এবং সাম্প্রতিককালে ১ জন মারা যাওয়াসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর