করোনা মোকাবিলায় টেস্ট বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির সদস্যরা বলেছেন, পরীক্ষা কমে গেছে। এটা দ্রুত বৃদ্ধি করতে হবে।
গতকাল সচিবালয়ে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় তারা এসব কথা বলেন। সভায় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে বাংলাদেশ আগে পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর একটি নিয়ম আছে, যেসব দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলারের নিচে, তারা ভ্যাকসিন ফ্রিতে পাবে। সেই হিসেবে আমরা ফ্রিতে পাবো। আমরা চেষ্টা করবো, বাংলাদেশ যেন আগে পায়।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। স্বাস্থ্য খাতে যে ইমেজ সংকট হচ্ছে, এটা দূর করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এজন্য নন-কোভিড রোগীদেরও হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেন তিনি।
সচিব বলেন, স্বাস্থ্যখাতের হাতে বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ কিট মজুত রয়েছে। এরপরও আরো কিট আমদানি কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার করে পরীক্ষা করতে থাকলে মজুতকৃত কিট দিয়েই আরো অন্তত একমাস চালানো যাবে। এরমধ্যে নিশ্চয়ই আরো কিছু কিট আমরা আমদানি করতে সক্ষম হবো। সুতরাং দেশে করোনা পরীক্ষায় কোনো সংকট নেই। নিশ্চয়ই করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধিতে আরো উদ্যোগ নেয়া হবে।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাস্থ্য খাতের গভীর সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এই সংকট দূর করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
জুম মিটিং অনলাইনে যুক্ত থেকে কমিটির সদস্যগণ তাদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।
বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, দেশে বর্তমানে করোনা টেস্টের পরিমাণ কমে গেছে। করোনা মোকাবিলা করতে পরীক্ষা সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতি করছে বলেও তিনি জানান।
স্বাচিপ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেলান বলেন, কোভিড হাসপাতালে অনেক সংখ্যক বেড খালি পড়ে রয়েছে। রোগীরা কেন ভর্তি হচ্ছে না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
সভায় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন। টেস্ট সংখ্যা বৃদ্ধি করা, বিমানবন্দরে কাস্টমসে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশে শুল্ক ব্যবস্থা শিথিল করা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একজন জরুরি ফোকাল পয়েন্ট রাখা এবং সিএমএইচডি’তে জরুরি কাজের সহজ মেকানিজম তৈরির ব্যাপারে পরামর্শ দেন।