আসন্ন কোরবানী উপলক্ষে জমে উঠেছে অন্যতম অনলাইনের গরুর হাট "গরু চাই" । সত্যিকারের হাটের অভাব সম্পূর্ণ রূপে পোষাতে না পারলেও প্রচিলত হাটের বিভিন্ন অসুবিধা দূর করে নতুন বেশ কিছু সুবিধা যোগ করায় এরইমধ্যে বিক্রি বেশ ভালোই চলছে "গরু চাই" অনলাইন হাট। প্রচলিত হাটের মাত্রাতিরিক্ত ভিড় , কাদা, নোংরা আরো বিভিন্ন অসুবিধার কারণে অনেকেই হাটে যেতে চান না। যেহেতু লেনদেন সম্পূর্ণ নগদ টাকায় হতো তাই নিরাপত্তার একটা প্রশ্ন সবসময় থেকেই যেত। তাছাড়া গরু কেনার পর তা বাড়িতে নিয়ে যাওয়াও ছিল এক ঝক্কির বিষয়। তাছাড়া এই করোনার সময়ে বিপুল জনসমাগমের জায়গা হাতে যেতে অনেকেই নিরুৎসাহিত বোধ করছেন। "গরু চাই" অনলাইন হাট এই অসুবিধাগুলো দূর করে ক্রেতাদের দিচ্ছে ঝামেলা বিহীন গরু কেনার এক অনন্য অভিজ্ঞতা। গরু চাই এর উদ্দেশ্য ক্রেতা ও ফার্মের মধ্যে একটি সেতু তৈরী করার যেখানে একজন ক্রেতা হাটে না গিয়ে, ঘরে বসে একটি চমৎকার কুরবানীর পশু কিনতে পারেন এবং একজন খামারি বা একটি ফার্ম, হাটে গরু নিয়ে আসার কষ্টটা না করে যেখানে আছেন সেখানে থেকেই তার গরুটি বিক্রি করতে পারে।
এই মুহূর্তে "গরু চাই" এর কালেকশনে আছে ৬৪ টি ফার্মের প্রায় ১০০০ টির মতো গরু। এই বিষয়ে অনলাইন গরুর হাট " গরু চাই" এর সহ প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ রেফায়েত চৌধুরী বলেন, "গরু চাই" - এর এই বিশাল কর্মযজ্ঞে নিবেদিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সুদক্ষ ফিল্ড টীম, ডেটা টীম , ব্যাকএন্ড, কাস্টমার সাপোর্ট এবং আরো অনেকেই।একজন কাস্টমার তার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে পছন্দের দাম, রং, জাত বেছে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে আরাম করে ঘরে বসে প্রচুর গরু দেখতে পারবেন, সেখান থেকে শর্টলিস্ট করতে পারবেন, কমপেয়ার করতে পারবেন, অ্যাডভান্স পেমেন্ট করে বুকিং দিতে পারবেন। সবশেষে একটি আস্ত গরু পছন্দ করে কিনতে পারবেন। আর দর দামের কোনো সুযোগ "গরু চাই" -এ থাকছে না কারণ গরুর মূল্য ফার্ম কতৃক নির্ধারিত।সীমিত পরিসরে থাকছে স্লটার সুবিধা। ক্রেতার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়াটিতেও আমরা এনেছে বেশ ভিন্নতা। গরু চাই এর ওয়েবসাইট থেকে একজন ক্রেতা চাইলেই কার্ডের মাধ্যমে, অনলাইন ব্যাংক ট্রান্সফার, ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার অথবা ক্যাশ এর মাধ্যমে গরু কিনতে পারবেন। আর যোগাযোগের জন্য রয়েছে ফেসবুকের ম্যাসেজ অপসন। এছাড়াও আছে কল সেন্টার যেখানে কল করে একজন ক্রেতা "গরু চাই" নিয়ে তার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পাবেন।