× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ জুলাই ২০২০, সোমবার

করোনায় কাবু গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশের অবস্থাও বেশ নাজুক। রাজধানী ঢাকাতে করোনার প্রভাব সব থেকে বেশি। কিন্তু রাজধানীর কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। আর মার্কেট এলাকার চিত্র যেন সেই আগের মতো। মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন অধিকাংশ মানুষ।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অধিকাংশ মানুষ। নিউ মার্কেট এলাকায় রীতিমতো জনতার চাপে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা কষ্টকর।
দোকানের পাশাপাশি হকাররা সড়কের ধারে বসে পণ্য বিক্রি করছেন। ক্রেতাও কম না, উপচেপড়া ভিড়। গতকাল দিনভর রাজধানীজুড়ে ছিল রোদ। অনেকেই বলেন, মাস্ক পরে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আর সেই সঙ্গে গরমের কারণে মুখ ঘেমে যাওয়ায় মাস্ক পরা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নিউ মার্কেটের ঠিক সামনের এলাকায় ওভারব্রিজের অবস্থা আরো ভয়ঙ্কর। রাস্তা পার হওয়ার জন্য ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়িয়ে উঠছিলেন ওভারব্রিজে। সেখানে সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। আবার ওভারব্রিজেও দেখা যায় একপাশ দখল করে বসে আছে হকাররা। রাজধানীর আরেকটি জনবহুল এলাকা ফার্মগেট। এখানেও দেখা যায় একই চিত্র। হকাররা ডেকে ডেকে বিক্রি করছেন পণ্য। আর গায়ে গা লাগিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। মার্কেটের ভেতরে পা ফেলার উপায় নেই। রাস্তার ধারে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানগুলোতে খাচ্ছে মানুষ। গতকাল দুপুরে ফার্মগেটে ‘ফার্মগেট বিরিয়ানি হাউজ’ সিট পাবার জন্য প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় একজনকে। আগে এসব রেস্তরাঁয় এক সিট পরপর বসার ব্যবস্থা থাকলেও এখন তা আর মানা হচ্ছে না।

নিউ মার্কেট, ফার্মগেটের মতোই চিত্র গুলিস্তানেও। সব এলাকাতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা। আগে বিভিন্ন সড়কে রিকশা প্রবেশের বিধিনিষেধ থাকলেও এখন আর তা নেই। এদিকে মিরপুর ১নং এলাকায় দেখা যায়, সড়কের অর্ধেক স্থানজুড়ে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ মার্কেট। আগে সবজি, ফলমূলের দোকান ফুটপাথে হলেও এখন তা এসে ঠেকেছে সড়কের অর্ধেক পর্যন্ত। বিভিন্ন মৌসুমি ফলের দোকান হওয়ায় বাজারে বেড়েছে দোকান, বেড়েছে ক্রেতা। আর সেই সঙ্গে ভাটা পড়েছে করোনার ভয়। তাই বলে করোনা কিন্তু থেমে নেই- আগের থেকে দুর্বার গতিতে বেড়েই চলেছে।

সব এলাকায় ভিড় দেখা গেলেও গণপরিবহনে ভিড় নেই। যাত্রীর জন্য হাঁকডাক করছে বাস চালক ও কন্ডাক্টর। শিন্তু যাত্রী নেই। চলছে যাত্রীর হাহাকার। তবে বেড়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চাহিদা।
পুরোদমে চলছে চায়ের দোকানের আড্ডা। কোথাও নেই করোনাভীতি। দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় গত ৮ই মার্চ। এরপর প্রথমদিকে সচেতনতা লক্ষ্য করা যায় জনগণের মাঝে। কিন্তু এখন সেই ভীতিটা আর নেই। সরকার নির্ধারিত সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকান। কিন্তু গত বুধবার রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকায় রাত ১০টায়ও দোকান খোলা ছিল। সেখানকার এক দোকানদার বলেন, আগে পুলিশের লোকেরা টহল দিতো। বাধ্য হয়ে সময়মতো দোকান বন্ধ রাখতাম। এখন প্রতি দোকান থেকে ৫০ টাকা করে তুলে দেয়া হয়। এখন আর ঝামেলা করে না পুলিশ। আবার ধানমণ্ডি লেকের সম্মুখের প্রবেশপথে বাধা দেয়া হলেও পিছনের সড়ক দিয়ে যাওয়া যাচ্ছে অনায়াসেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লেকে সমাগম কম হলেও যারা আড্ডা দিচ্ছেন কিংবা প্রকৃতির মাঝে একটু সময় পার করছেন তারাও মানছেন না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর