জনপ্রিয় মডেল-অভিনেতা শাহেদ শরীফ খান। করোনা পরিস্থিতিতে বাসায় থাকছেন। খুব বেশি জরুরী না হলে বের হচ্ছেন না। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে এই অভিনেতা বিটিভির একটি নাটকে কাজ করেছেন। ঈদে তাকে দেখা যাবে 'নিরুদ্দ্যেশ হবার আগে' শিরোনামের এই নাটকে। এতে তিনি ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। এত কম সংখ্যক নাটকে কেন শাহেদ? উত্তরে তিনি বলেন, কিছু দিন আগে দীপ্ত টিভির 'ভালোবাসার আলো আঁধার' শিরোনামের একটি ধারাবাহিকের কাজ শেষ করেছি। এর বাইরে আর কোনো ধারাবাহিক নেই।
এখন ঈদের একটি কাজ করা হলো। আমি নিয়মিত নাটকে কাজ করতে চাই। কিন্তু কেন সংখ্যায় কম হচ্ছে সেটি আমি নিজেও জানি না। আমি আবারো বলছি ভালো গল্প ও চরিত্রে নিয়মিত আমি কাজ করতে চাই। এই সময়ে নাটকের অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে বলে মনে করেন? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার অনেক আগেই আমাদের নাটককে ভাইরাস আক্রমণ করেছে। ভাইরাস নিয়েই আমরা একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি। ভালো মন্দ সব সময় ছিলো। কিন্তু মন্দের সংখ্যা এখন বেশি। আমাদের নাটকের গল্প, নির্মাণশৈলি থেকে শুরু করে সব কিছুতে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে। করোনা ভাইরাসের এই সময়ে গ্রামীণ ফোনের একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন এই অভিনেতা। এতে তার সঙ্গে আরো অভিনয় করেছেন তার মেয়ে শ্রীষা আনেরাহ খান। পরিচালনা করেছেন আবরার। ঘরে থেকেই এই বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছেন বলে জানান শাহেদ। টিভি নাটকের বাইরে চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। তার অভিনীত 'প্রিয় সাথী' ও 'হৃদয় শুধু তোমার জন্য' দুটি ছবি প্রশংসিত হয়। বর্তমানে ওপার বাংলায় তার 'সেনাপতি' শিরোনামের একটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। চলচ্চিত্র নিয়ে দুই পর্দার এই অভিনেতা বলেন, 'সেনাপতি' ছবির কাজ শেষ হয়েছে কিছু দিন হলো। আমি চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি। কিন্তু এখানেও আমার উপস্থিতি কম। অনেকের মতো চলচ্চিত্রের লোকজনের সাথে আমার যোগাযোগ তেমন নেই। হয়তো এই কারনে চলচ্চিত্রে তেমন কাজ করা হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা গেছে এই যাত্রায় বেঁচে গেলে অনেকে নিজেকে বদলে ফেলবেন বলে জানান। গেল কয়েক মাসে কী আসলে আমাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন এসেছে? উত্তরে শাহেদ বলেন, কে কেমন বদলেছে জানা নেই। তবে আমার মানসিকতার পরিবর্তন এসেছে। আমি একটা বিষয় অনুধাবন করেছি। ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এমন পরিস্থিতি আমাদের আরো আসতে পারে। তখন যেন দিশেহারা না হই, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।