× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সকল সংক্রামক রোগের চেয়ে বেশি মানুষ মরবে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে: গবেষণা

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
৫ আগস্ট ২০২০, বুধবার

বিশ্বজুড়ে নীরবে বেড়ে চলেছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মৃত্যুর সংখ্যা। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে না আনা গেলে, এর ফলে হওয়া মৃত্যুর সংখ্যা খুব শিগগিরই পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত হওয়া সকল সংক্রামক রোগে মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে। নতুন এক আলোচিত গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। খবরে বলা হয়, বাড়তে থাকা তাপমাত্রা বিশেষ করে দরিদ্রদের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলবে। বিশ্বের উষ্ণ অংশগুলো নতুন অসহ্যকর পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হিমশিম খাবে। এতে মারা যাবে বিশাল সংখ্যক মানুষ। একইসঙ্গে বাড়বে অর্থনৈতিক ক্ষতিও।
পুরো বিশ্বই এতে প্রভাবিত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াল থাবা থেকে ছাড় পাবে না ধনী দেশগুলোও।
গবেষণাটি অনুসারে, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে এমন গ্যাস নির্গমন বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হলে, এই শতকের শেষ হওয়ার আগে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট কারণে গড়ে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে মৃত্যুর হার বেড়ে ৭৩ জনে পৌঁছবে। এই হার বর্তমানে এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও হলুদ জ্বরসহ সকল প্রকার সংক্রামক রোগে মোট মৃত্যুহারের প্রায় সমান। গবেষণাটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ। গবেষকরা বৈশ্বিক মৃত্যুর ব্যাপক উপাত্ত ও তাপমাত্রার রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখেছেন এই দুটি কীভাবে সম্পর্কিত। এক্ষেত্রে, কেবল হিট স্ট্রোকের মতো তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সরাসরি মৃত্যুর পাশাপাশি তাপদাহের মাঝে হওয়া হার্ট অ্যাটাক বৃদ্ধির মতো মৃত্যুও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। গবেষণাটির এক গবেষক ও ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর পরিবেশ বিষয়ক অর্থনীতির অধ্যাপক আমির জিনা বলেন, তাপমাত্রার পরোক্ষ প্রভাবের কারণে বহু বৃদ্ধ মানুষ মারা যান। বিশেষ করে যারা আগে থেকেই জটিল রোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবের ভীতিকর মিল রয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যদি টানা ক’দিন উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ভোগেন, তাহলে তার মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। গবেষণাটি অনুসারে, বিশ্বের যেসব গ্রীষ্মপ্রবণ স্থানগুলোয় দরিদ্রতার হার বেশি, সেসব জায়গায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি ক্ষতিসাধন করবে। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে চলতি শতকেই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ঘানা ও সুদানের মতো দেশগুলো প্রতি ১ লাখ মানুষে অতিরিক্ত ২০০ মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, নরওয়ে, কানাডার মতো ধনী ও শীতপ্রবণ দেশগুলোয় ঠা-াজনিত কারণে মৃত্যুর হার কমবে। যদিও উষ্ণ দেশগুলোর ক্ষেত্রে এ প্রভাব হবে বিপর্যয়কর। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইউরোপ ও উত্তর মেরুর অঞ্চলগুলোয় সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র তাপদাহের হার বেড়েছে। চলতি বছর পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উষ্ণ বছর হতে চলেছে। গত বছরের গ্রীষ্মে ফ্রান্সে তাপদাহ সংশ্লিষ্ট কারণে মারা গেছেন প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন। গবেষকরা জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে গুরুতর। এই শতক শেষ হওয়ার আগে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির হার ৩.২ শতাংশ কমে যেতে পারে। প্রতি টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমনের জন্য উচ্চ-নির্গমনশীল বিশ্বকে গুনতে হবে ৩৬ ডলারের বেশি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর