× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কক্সবাজারে সেনাপ্রধান ও আইজিপি’র ব্রিফিং, সিনহার মৃত্যু বিচ্ছিন্ন ঘটনা /দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরবে না

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৬ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার

 অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সম্পর্কে চিড় ধরার কোনো অবকাশ নেই বলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন দুই বাহিনী প্রধান। গতকাল কক্সবাজারে যৌথ সংবাদ
সম্মেলনে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ বলেন, সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এই কমিটির সুপারিশের আলোকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোষীদের অবশ্যই প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। দুপুরে হেলিকপ্টারে করে দুই বাহিনী প্রধান কক্সবাজারে যান। এরপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর তারা সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, গত ৩১শে আগস্ট রাতে কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই কারণেই আমরা এখানে এসেছি।
এসেই এই এলাকার সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আসছে। ’৭১-এ পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। বিগত প্রায় ৫০ বছরে দেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে, দেশের জন্য নিরাপত্তার যেসব ঝুঁকি এসেছে তা মোকাবিলায় অন্যান্য সংস্থার ন্যায় সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধেও এই দুই বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় আমরা মর্মাহত। পুলিশ বাহিনীর সবাই মর্মাহত।
ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই টিমের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।
ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দায় প্রতিষ্ঠানের হতে পারে না। তদন্ত কমিটি যাদের দোষী সাব্যস্ত করবে তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। এখানে কোনো প্রতিষ্ঠান কারো সহযোগিতা করবে না। কারও বিপক্ষেও যাবে না।
আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বহু বছর ধরে দুই বাহিনীতে যে আস্থা, বিশ্বাস এবং সম্প্রীতি গড়ে উঠেছে তা অটুট থাকবে। সম্প্রীতিতে কোনো ধরনের চিড় ধরে এমন কিছু হবে না। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও হবে না। পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও হবে না। যেহেতু ঘটনাটি তদন্তাধীন আছে, তাই এটি নিয়ে বেশি কিছু বলবো না।
সেনাপ্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেজর সিনহার মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কথা দিয়েছেন, সুষ্ঠু তদন্ত হবে। যারা দোষী তাদের বিচার হবে।
তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করে পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা আশা করি ঘটনার প্রভাবমুক্ত তদন্ত হবে। কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কোনো উস্কানি দিয়ে কেউ কোনোভাবে সফল হতে পারবে না। যারা উস্কানিমূলক কথা বলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে তারা সফল হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যাবে। দেশের কল্যাণের স্বার্থে দয়া করে কেউ কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন না।
সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় কক্সবাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নে সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বলেন, এ ঘটনায় মাদকবিরোধী অভিযানে কোনো প্রভাব পড়বে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর