× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি /এই প্রথম ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনের অনুপ্রবেশ স্বীকার করলো মোদি সরকার

অনলাইন

তারিক চয়ন
(৩ বছর আগে) আগস্ট ৬, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১:০১ পূর্বাহ্ন

শেষ পর্যন্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে চীনা সেনাবাহিনীর ‘আগ্রাসন’ এর কথা সরকারিভাবে স্বীকার করেছে ভারত।

বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জুন মাসের কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গত ৫ মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর, বিশেষ করে গালওয়ান উপত্যকা অঞ্চলে চীনা আগ্রাসনের মাত্রা বেড়ে চলেছে। গত ১৭-১৮ মে চীনারা কুগরাং নালা, গোগরা এবং প্যাংগং ৎসো সরোবরের উত্তর তীরবর্তী অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে।’

সরকারি বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘ঘটনার জেরে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পরিস্থিতির মীমাংসা করতে ৫ মে সশস্ত্র আদান-প্রদান ঘটেছে। ৬ মে দুই পক্ষের মধ্যে কর্পস কম্যান্ডার স্তরে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে। যদিও তারপর গত ১৫ জুন দুই বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, যার জেরে দুই পক্ষেই বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংঘর্ষের পরে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে ২২ জুন দ্বিতীয় কর্পস কম্যান্ডার ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। যদিও সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালু রয়েছে, আপাতত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘিরে এই অচলাবস্থা বেশ কিছুদিন বহাল থাকবে। পূর্ব লাদাখে চীনের একতরফা আগ্রাসনের জেরে অত্যন্ত সংবেদনশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং তার উপরে কড়া নজরদারি ও প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন সূত্র ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা লাল ফৌজের দখলদারি নিয়ে সোচ্চার হলেও এবং ভারতের বিরোধী দলগুলো এই নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তা এড়িয়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি সেই কৌতূহলের অবসান ঘটালো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর