ঈদের আগেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাঠে ফিরেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কোভিড টেস্টের মাধ্যমে মাঠে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ফুটবলারদের। এবার হকি খেলোয়াড়দের টার্ফে ফেরানোর পালা। জুনিয়ার এশিয়া কাপ আসর সামনে রেখে আগামীকাল ফিটনেস টেস্টের মধ্যদিয়ে ক্যাম্পে ফিরবেন যুবদলের খেলোয়াড়রা। তবে এই ক্যাম্পে কেবল সুযোগ মিলবে সার্ভিসেস দলের বাইরে থাকা জেলা ও বিকেএসপির খেলোয়াড়দের। বিমান বাহিনীর শাহীন হলে কোভিড-১৯ টেস্ট করা হবে ডাক পাওয়া ২০ জনের। এরপর সাতদিনের আইসোলেশনে থাকতে হবে তাদের। পরবর্তীতে বিমানের সদর দপ্তরেই হবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ক্যাম্প। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ। ক্যাম্প নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনী প্রধান ও ফেডারেশনের সভাপতি এয়ার মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত সাহেবের আগ্রহে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে খেলোয়াড়দের ফিজিক্যাল ফিটনেস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি আমরা।’ আগামীকাল দুপুর ১টায় মহাখালী শাহীন হলে যুবদলের ২০ জন খেলোয়াড়কে সিলেকশন কমিটির কাছে রিপোর্টিং করতে বলা হয়েছে। যদিও আগে যুবদলের ৩৬ জনকে নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলেন কোচ মামুন উর রশিদ। সেখান থেকে ২০ জনকে ডাকা হয়েছে ক্যাম্পে। এ বিষয়ে মো. ইউসুফ বলেন, ‘ওই ৩৬ জনের মধ্যে ১৬ জন বিভিন্ন বাহিনীতে রয়েছে। যারা সব সময় ফিটনেস অনুশীলন করে থাকে। তাই আমরা সার্ভিসেস দলের বাইরে বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বিকেএসপির খেলোয়াড়দের ফিটনেস ক্যাম্প করাতে চাই বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে। তাই ২০ জনকে ডাকা হয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি তারা শিগগিরই এশিয়ান জুনিয়র হকি আয়োজনের সময় নির্ধারণ করে তাহলে এই ক্যাম্প নিয়মিত হবে। অন্যথায় বিরতি দিতে হবে।’

ডাক পেয়েছেন যারা-
শফিউল আলম, প্রিন্স লাল সামন্ত, নাঈম উদ্দিন, সারোয়ার মোর্শেদ, খালেদ মাহমুদ, আবেদ উদ্দিন, রাজিব দাস, সিহাব হোসেন, আল আমিন মিয়া, দেবাশীষ কুমার, সাকিব মাহমুদ, জাহিদ হোসেন, সাবেদুর রহমান, সোয়েব মল্লিক, মেহরাব হাসান, রকিবুল হাসান, মেহেদী হাসান, নুরুজ্জামান নয়ন, আমিরুল ইসলাম ও ওবায়দুর রহমান।