লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। যে মাঠে কিনা ২০০'র বেশি তাড়া করে জয়ের নজির মাত্র দুটি সেখানে ২৭৭ রানের টার্গেটটা কঠিনই। আর সেটি পেরোতে গিয়ে ১১৭ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসলো ইংল্যান্ড। তবে ক্রিস ওকস-জস বাটলারের বীরত্বে শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টারে জয়ের হাসি হাসলো তারাই, পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়ে। তাতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে ওকস-বাটলারের ১৩৯ রানের জুটিই জয়ের ভিত গড়ে দেয় ইংল্যান্ডের। দলীয় ২৫৬ রানে অাউট হন বাটলার। ১০১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যাতে ছিল ৭ চার ও একটি ছক্কার মার।
ওকস ১২০ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। এ নিয়ে ম্যানচেস্টারে টানা ৩ টেস্ট জিতলো ইংল্যান্ড। আগের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানা দুই ম্যাচে হারিয়েছিল তারা। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা নিঃসন্দেহে তাদের সেরা পারফরম্যান্সের একটি।
প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের ৩২৬ রানের জবাবে ২১৯ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সেই দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৬৯ রানেই গুটিয়ে দেয়। বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছিলেন ওকস। ব্যাট হাতে অনবদ্য ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেন।