সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বলদিপাড়া মৌজায় একটি ব্রিজের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে তিনটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। এতে করে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে ওই এলাকার প্রায় তিন শতাধিক কৃষক। গত শনিবার দুপুরে বলদিপাড়া, দেশীগ্রাম ও উত্তর শ্যামপুর গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, দেশীগ্রাম ও বলদিপাড়া গ্রামীণ সড়কের একটি ব্রিজ দিয়ে তিনটি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। সম্প্রতি বলদিপাড়া গ্রামের ওসমান গনির ছেলে আব্দুল মালেক বাড়ি করার জন্য ওই ব্রিজের মুখ মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেয়। এতে করে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যার ফলে প্রায় পাঁচশত বিঘা জমি আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে বলদিপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ বিশ্বাস (৫৫) বলেন, তার সাত বিঘা জমি এই জলাবদ্ধতার কারণে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না। উত্তর শ্যামপুর গ্রামের আলহাজ মো. খলিলুর রহমান বলেন, তারও ২০ বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি হিসেবে পড়ে থাকছে। একই কথা জানালেন আরো শতাধিক কৃষক। তারা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রকার প্রতিকার পাননি। এ প্রসঙ্গে ব্রিজের মুখ বন্ধকারী আব্দুল মালেক জানান, এবার বন্যার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলে তো তেমন বন্যা হয় না, এ কারণে ব্রিজের মুখ ভরাট করেছি। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পানি প্রবাহের পথ দ্রুত তৈরি না করতে পারলে, ব্যাপক ফসলহানি ঘটবে। আমিও বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।