× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিজেই ‘মিরাকল’ দেখালেন ওকস

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১০ আগস্ট ২০২০, সোমবার

ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ক্রিস ওকস বলেছিলেন, ‘আমাদের দলে মিরাকল দেখানোর মতো প্লেয়ার আছে।’ কে জানতো চতুর্থ দিনে এ ওকসই জস বাটলারকে সঙ্গী করে ইংল্যান্ডকে অভাবনীয় জয় এনে দেবেন! পাকিস্তানের দেয়া ২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ইংল্যান্ড ১১৭ রানেই খোয়ায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৯ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের জয় কুড়ায় ইংল্যান্ড। ১২০ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওকস। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে এ পেস অলরাউন্ডারের হাতে।
গত অ্যাশেজে হেডিংলি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্টোকসের অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড। শনিবার ম্যানচেস্টারে  ক্রিস ওকস আর জস বাটলার মিলে যা করলেন, তা গত বছর হেডিংলি টেস্টে স্টোকসের মহাকাব্যিক ইনিংসের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। পাকিস্তানি অধিনায়ক আজহার আলীই বলেছেন এ কথা।
ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটের কাছে এটি ‘পর্বতপ্রমাণ জয়’। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, আমরা কখনো হাল ছাড়ি না। আমরা সবসময় ম্যাচে ফেরার পথ খুঁজি। এবং আজ আমরা একটা উপায় বের করতে সক্ষম হয়েছি। এটি মনুমেন্টাল উইন।’
এই ম্যাচের আগে ম্যানচেস্টারে ২০০’র বেশি রান তাড়া করে জয়ের ঘটনা ছিল মাত্র ২টি। সেখানে পাকিস্তান তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল ২৪৪ রানের লিড নিয়ে। চতুর্থ দিনের সকালে আরো ৩২ রান যোগ করে থামে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্রই ১৬৯ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। তবে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ১০৭ রানে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৭। জবাবে দলীয় ২২ রানে ররি বার্নসকে (১০) হারায় ইংল্যান্ড। অধিনায়ক জো রুট-ডম সিবলির কল্যাণে প্রথম সেশন পার করলেও ধস নামে দ্বিতীয় সেশনে। ৮৬ থেকে ১১৭- এই ৩১ রানের ব্যবধানে সিবলি (৩৬), রুট (৪২), বেন স্টোকস (৯) ও অলি পোপকে (৭) হারায় ইংল্যান্ড। শাহীন আফ্রিদি-নাসিম শাহর গতি ও ইয়াসিরের ঘূর্ণির সামনে তাদের টিকে থাকাটা কঠিনই ছিল। এরপরই ঝাঁপি থেকে নিজের সেরাটা বের করেন বাটলার-ওকস। তাদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, টেস্ট নয় যেন ওয়ানডে খেলছেন। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেন এ দুজন। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বাটলার (৭৫) যখন সাজঘরে ফিরছেন, ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য তখন দরকার মাত্র ২১ রান। এরপর স্টুয়ার্ট ব্রডকে (৭) হারালেও নাটকীয় কিছু ঘটেনি। ম্যানচেস্টারে টানা তৃতীয় জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। আগের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুবার এ ভেন্যুতে হারিয়েছিল জো রুটের দল। হার দিয়ে সিরিজ শুরুর বাজে অভ্যাসটাও কাটলো তাদের। আগের ১০ সিরিজের ৮টিতেই প্রথম টেস্ট হেরেছিল থ্রি লায়নরা।
ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলেন বাটলার!
গ্রীষ্মকালটা বাজে যাচ্ছিল বাটলারের। উইকেটের পেছনে ভালো করতে পারছিলেন না। পাচ্ছিলেন না রানও। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০১ বলে ৭৫ রানের ইনিংসটি নিঃসন্দেহে তার ক্যারিয়ার বাঁচিয়ে দেবে। ইংল্যান্ডকে জেতানোর পর বাটলার নিজেই বলেন, ‘আমি জানি যে আমি ভালো কিপিং করিনি। আমি কিছু সুযোগ মিস করেছি।’ প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানি ওপেনার শান মাসুদকে দুবার জীবন দান করেন বাটলার। মাসুদ পরে ১৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অনেক দুশ্চিন্তা নিয়ে খেলতে নামেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় ঘুরছিল যদি আমি এবার খারাপ খেলি, তাহলে হয়তো টেস্ট  ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে আমার।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর