× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউএনও’র বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানদের নানা অভিযোগ

বাংলারজমিন

বগুড়া প্রতিনিধি
১০ আগস্ট ২০২০, সোমবার

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা। তারা ইউএনও রাসেল মিয়াকে অপসারণ করার জন্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। সমপ্রতি অভিযোগের অনুলিপি সচিব, এনএসআই, দুদক, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন। এবিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটফুলবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া যোগদান করার পর থেকে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির সাথে জড়িত। তিনি আরো বলেন, ইউএনও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। এতে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নদীতীর রক্ষার কাজ ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। তিনি জনপ্রতিনিধি ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। ওই চেয়ারম্যান আরো বলেন, করোনা মহামারী শুরুর পর গত চার মাসে উপজেলা পরিষদের কোনো সভা হয়নি।
পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ইউএনও এডিপি ও রাজস্ব খাতের টাকা নামে বেনামে পিআইসি ও কোটেশন আহ্বান করে নিজের লোকদের দিয়ে ঠিকাদারির নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করে একক সিদ্ধান্তে কাজ করেছেন। এভাবে কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের আকন্দপাড়ায় গুচ্ছগ্রাম ও কাজলা ইউনিয়নের পাকেরদহ গুচ্ছগ্রামের কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও ইউএনও উৎকোচ ছাড়া ফাইল ছাড়েন না, এলজিএসপি প্রকল্পে ঘুষ নেন, তাকে অপসারণ ও সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে বিচার চেয়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া মানবজমিনকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে উস্থাপিত অভিযোগগুলোর কোন ভিত্তি নেই। ওই অভিযোগপত্রে অনেক চেয়ারম্যানকে জোর করে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার এতে স্বাক্ষর করেননি। তিনি আরো বলেন, অভিযোগকারী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে কোন কোন চেয়ারম্যান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সরকারি গাছ কর্তন করেছে, করোনাকালীন সময়ে প্রাইভেট পড়ানো, সমাবেশসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, সঠিক তদন্ত হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণ হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, দুর্নীতি করতে না দেয়ার কারণেই মূলত তারা এসব অভিযোগ করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর