× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেসবুকে না লেখার শর্তে ‘মুক্তি’ / কে এই আশরাফ মাহাদী?

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) আগস্ট ১০, ২০২০, সোমবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন

‘লালবাগ থেকে বাসায় ফেরার পথে ওরা আমাকে তুলে নিয় যাচ্ছে। আমার কিছু হলে দায়ী থাকবে.....’। তিন দিন আগে এক তরুণের এমন স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক দুনিয়ায়। কে তিনি? কারাই বা তাকে তুলে নিয়ে গেলো। কেনই বা এই ঘটনা। ওই তরুণ অবশ্য তার স্ট্যাটাসে দু’জন ব্যক্তিকে এরজন্য দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন শীর্ষ আলেমদের একাংশ। স্বস্তির খবর হচ্ছে দু’ দিন পরই ফিরে এসেছেন ওই তরুণ।
যেখান থেকে তাকে নেয়া হয়েছিল সেখানেই আবার রেখে যাওয়া হয়েছে।
 
তরুণটির নাম আশরাফ মাহাদি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে তাকে নিয়ে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। কারা অপহরণ করেছে সে ব্যাপারে খোলাসা করে কিছু না বললে তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুকে না লেখার শর্তেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তার পিতা জসিম উদ্দিনও গণমাধ্যমকে একই তথ্য জানিয়েছেন। আশরাফ মাহাদী ফেসবুকে লিখেছেন, দুইদিন তারা আমাকে একটা কথাই বুঝিয়েছে, ফেসবুকে লেখালেখি বন্ধ করতে হবে। লেখালেখি না করার শর্তেই আজ মুক্তি পেয়েছি। আপাতত এর থেকে বেশি কিছু লেখার মত শক্তি নেই। পরে অবশ্য আরেকটি স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ লেখালেখি থেকে আপাতত দূরে থাকবেন তিনি।

কে এই আশরাফ মাহাদী? তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের প্রয়াত চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি। পড়ছেন মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। জুলাইয়ের শেষ দিকেও তাকে নিয়ে ঘটে নানা নাটকীয়তা। গত ২৫শে জুলাই আশরাফ মাহাদী মিশরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। বাংলাদেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দুবাই থেকে তাকে ফিরিয়ে আনে। একটি মামলায় ২৮শে জুলাই তাকে হাজির করা হয় চট্টগ্রামের আদালতে। ওসমান কাসেমি নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ করা হয়, আসামিরা হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে এর প্রতিবাদ করলে আসামিরা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। ১৮ই জুলাই ফোন করে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ১০-১২ জন তার ওপর হামলা করেন। তার কাছ থেকে টাকা ও মুঠোফোনও ছিনিয়ে নেয়। এ মামলায় আদালত থেকে জামিন পান আশরাফ মাহাদী।

৬ই জুলাই রাতে তুলে নেয়ার পর ৮ই জুলাই ফেরত পাওয়া যায় আশরাফ মাহাদীকে। ফেসবুকে দীর্ঘ দিন থেকেই তাকে বিভিন্ন ইস্যুতে খোলামেলা মত দিতে দেখা গেছে। তার সর্বশেষ স্ট্যাটাসগুলোতে প্রধান দু’টি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। ১. বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি হেফাজতের আমির আহমদ শফীর অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। ২. কওমি মাদরাসা বোর্ড কেন্দ্রিক দুর্নীতির ইস্যুতেও সরব ছিলেন তিনি।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর