নির্ধারিত সময় থাকলো গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে জয় এনে দিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। রোববার রাতে এফসি কোপেনহেগেনকে হারিয়ে ইউরোপা লীগের সেমিফাইনালে উঠেছে রেড ডেভিলরা। জার্মানির কোলনে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ফার্নান্দেজের সফল স্পটকিকে ১-০ গোলে জিতেছে ওলে গানার সুলশারের দল। ১৭তম বারের মতো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালে উঠল রেড ডেভিলরা।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ম্যাসন গ্রিনউডের গোল অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হন ইউনাইটেডের ফরাসি স্ট্রাইকার অঁতনি মার্শিয়াল। এর মাঝে ১৩টি সেভ করেন কোপেনহেগেনের সুইডিশ গোলরক্ষক কার্ল ইয়োহান জনসন। ইউনাইটেডের বিপক্ষে একাই লড়াই করেন তিনি।
পুরো ম্যাচে গোলমুখে একটি শটও নিতে পারেনি প্রথম ডেনিশ দল হিসেবে ইউরোপা লীগের কোয়ার্টারে খেলা কোপেনহেগেন।
গত জানুয়ারিতে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং সিপি থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসার পর বদলে যায় ম্যানইউ। ফার্নান্দেজ নৈপুণ্যে প্রিমিয়ার লীগে তিনে থেকে শেষ করেছে রেড ডেভিলরা। কোয়ার্টার ফাইনালে গোল যখন সোনার হরিণ ঠিক সেসময় পেনাল্টি পেয়ে যায় ইউনাইটেড। ৯৫তম মিনিটে ঠান্ডা মাথায় স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ফার্নান্দেজ। ইউরোপা লীগে গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে নিজের ব্যক্তিগত সংখ্যাটাও তাতে ২১ নিয়ে যান ২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার । ২০১৭-১৮ মৌসুমের পর থেকে ইউরোপা লীগে গোলে এতোগুলো অবদান (১৩ গোল, ৮ অ্যাসিস্ট) নেই অন্য কোনো খেলোয়াড়ের।
আর চলমান মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১তম পেনাল্টি পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লীগের আর কোন দল এত সংখ্যক স্পটকিক পায়নি।