× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরকারের সহায়তা না পেলে বন্ধ হয়ে যাবে স্টার সিনেপ্লেক্স

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার

শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, আভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, পর্যটনসহ দেশের অর্থনীতির প্রায় সব খাত যখন সচল হয়ে গেছে তখন কেবল দেশের সিনেমা হল বন্ধ। সিনেমা হল মালিকদের জন্য এটা  হতাশার ব্যাপার। এ অবস্থায় সরকার সহায়তা নিয়ে এগিয়ে না এলে বন্ধ হয়ে যাবে দেশের জনপ্রিয় সিনেমা থিয়েটার স্টার সিনেপ্লেক্স। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর এসকেএস টাউয়ারের সিনেপ্লেক্স শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণাই দিলেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল। সেখানে তিনি সরকারের কাছে ৫টি সহ মোট ৭টি দাবি তুলে ধরেছেন। যেগুলো পূরণ হলে স্টার সিনেপ্লেক্স এদেশে সিনেমা থিয়েটারের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে।

সেগুলো হলো-

১) নগরবাসীর বিনোদনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনতিবিলম্বে সিনেমা হলসমূহ খুলে দেয়া।

২) জরুরি আর্থিক সহায়তা কিংবা প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা।

৩) সিনেমা হলের টিকিটের উপর সকল প্রকার মুসক ও কর মওকুফের সুযোগ প্রদান।

৪) সুদবিহীন ঋণ প্রদানের অনুমোদন।

৫) উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র সমূহ শর্তহীনভাবে আমদানির অনুমতি প্রদান।

এছাড়া আরও দুটি দাবি তিনি উপস্থাপন করেছেন স্টার সিনেপ্লেক্স আছে এমন তিনটি শপিংমল কর্তৃপক্ষের কাছে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির কাছে। শপিংমল কর্তৃপক্ষের কাছে রুহেল বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রতিটি শাখা বিভিন্ন শপিং মলে ভাড়ায় পরিচালিত হয়। এই করোনাকালীন সময়ে শপিং মল কর্তৃপক্ষের কাছে ভাড়া মওকুফ করা ও অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক ভাড়া নেয়ার অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ প্রযোজক সমিতির কাছে অনুরোধ করে বলেন, সেন্সর পাওয়া সিনেমাগুললো মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
শুধুমাত্র সিনেমা হল খুললেই হবে না নতুন ছবি মুক্তি না পেলে দর্শক হলে আসবে না।

রুহেল আরও বলেন, আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হলগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চমৎকার উদাহরণ হতে পারে। নির্ধারিত আসনের জন্য অল্পসংখ্যক লোক টিকিটের বিনিময়ে সিনেমা দেখে। অন্যান্য জনবহুল স্থানের তুলনায় এখানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মানুষের বিনোদনের সুযোগ করে দেয়া সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, স্টার সিনেপ্লেক্স বরাবরই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন। এখানকার কর্মীসহ আগত সকলের জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার, হলের আসনগুললো নিয়মিত জীবানুমুক্তকরণসহ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সব ধরনের সুব্যবস্থা রয়েছে।
চীন, জার্মানি রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ইতালি, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এরইমধ্যে সিনেমা হল চালু করা হয়েছে। ভারতেও মাসে সিনেমা হল খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। বিষয়গুলো উল্লেখ করে  রুহেল বলেন, সংস্কৃতি ও বিনোদন সংশ্লিষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আর্থিক সহায়তাও করছে বিভিন্ন দেশের সরকার। মুভি থিয়েটার ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুললোর জন্য ২ ট্রিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা বিল পাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ৫ বিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছে। যুক্তরাজ্য দিয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। এমন অবস্থায় আমাদের দেশেও সিনেমা হল চালু রাখতে সরকারের আন্তরিক সহায়তা জরুরি।

সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের মেরুদণ্ড বলা যায় সিনেমা হলকে। হল না থাকলে চলচ্চিত্র বাঁচবে না। তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন অনতিবিলম্বে দেশের
হলগুললো খুলে দেয়া হোক। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সিনেমা হল পরিচালনায় ব্যয় বেড়ে যাবে, তাই টিকিট থেকে ভ্যাট, ট্যাক্স মওকুফ করা হোক। এছাড়া সুদবিহীন ঋণসহ পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।
দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে স্টার সিনেপ্লেক্স এদেশে ব্যবসা করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে ৩টি শাখায় ১৫টি স্ক্রিনে সিনেমা দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন করে মিরপুরে চতুর্থ শাখা চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এমন অবস্থায় উপরোক্ত দাবি পূরণ না হলে তাদের সকল ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেন মাহবুব রহমান রুহেল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর