× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিএসসিসি’তে উন্নয়ন প্রকল্প /বার বার রাস্তা কাটতে দেয়া হবে না

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ আগস্ট ২০২০, শুক্রবার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন,ডিএসসিসি’তে একই রাস্তা বার বার কাটতে দেয়া হবে না। ঢাকা দক্ষিণের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি এড়াতে ১লা অক্টোবরের মধ্যে ঢাকাকেন্দ্রিক সকল উন্নয়ন প্রকল্প সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে কোনো সংস্থা সমন্বয়ে না এলে সেই সংস্থাকে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সমন্বয়ের পর সেবা সংস্থাগুলো নিজেদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবেন। কিন্তু এক জায়গায় তিনবার রাস্তা কাটতে পারবেন না। সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে এক জায়গা একবারই কাটতে পারবেন। কিন্তু পহেলা অক্টোবরের মধ্যে সমন্বয়ে না এসে আপনাদের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য পরবর্তীতে আপনারা কোনো তদবির করবেন না।
আমি আপনাদের কোনো তদবির শুনবো না। আপনাদের প্রকল্পের ফান্ডিং বিশ্বব্যাংকের হোক, এডিবির হোক, জিওবির হোক বা অন্য কোনো সংস্থার হোক, সমন্বয় ছাড়া সে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি’র প্রতি পপুলেশন প্ল্যানিং করার আহ্বান জানিয়ে তাপস বলেন, শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ শহরেও পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা সম্বলিত নগরায়ন সৃষ্টি করা গেলে ঢাকার ওপর চাপ কমবে। মেয়র বলেন, ঢাকা হলো রাজধানী। ঢাকাকে আপনারা বস্তি বানাবেন না, ঢাকাকে রাজধানী বানান। আমরা রাজধানীর সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবো কিন্তু থাকার জন্য ঢাকাকেন্দ্রিক চিন্তা পরিহার করতে হবে। লো-কাস্ট আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলে তাদেরকে নদীর ওপারে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা ঢাকায় আসবে কাজকর্ম করে আবার ঢাকা থেকে চলে যাবে। মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশটা একটা ছাতার মতো। এখানে সিটি করপোরেশন আছে, পৌরসভা আছে, রাজউক আছে, পূর্ত মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আছে। করপোরেশন বলছে খাল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা তাদের কাছে হস্তান্তর করতে। আমাকে এমনভাবে দিতে হবে যাতে করে সিটি করপোরেশন কাজ করতে পারে। সিটি করপোরেশনের কোথায় কোথায় সাপোর্ট প্রয়োজন, সক্ষমতা কোথায় বাড়াতে হবে? তা দেখতে হবে। সারা পৃথিবীতে করপোরেশন অবশ্য এই কাজ করছে। এ সময় নগর উন্নয়ন নিয়ে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি জালাল আহমেদ, ভলিউম জিরো লিমিটেডের স্থপতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, ভিত্তি স্থাপাতিবৃন্দ লিমিটেডের পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী এডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের সভাপতি ড. আকতার মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এর ড্রেনেজ বিশেষজ্ঞ মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকী প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর