× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শখের গাড়ল এখন সফলতার চাবিকাঠি

রকমারি

মিনহাজ উদ্দিন, গোয়াইনঘাট (সিলেট) থেকে
৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

সিলেটের গোয়াইনঘাটের ৭নং নন্দিরগাও ইউনিয়নের আঙ্গারজুর গ্রামের তরুন জামিল আহমদ। ২৭ বছরের এ যুবক লেখাপড়া করেছেন মাত্র ৬ষ্ট শ্রেনি পর্যন্ত। প্রযুক্তির কারিশমায় নেট দুনিয়া থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন ভেড়ার মতো দেখতে গাড়ল নামে এক শ্রেনির ছাগল পালনের লাভজনক দিক। সেই চিন্তাচেতনা থেকে ১ বছর আগে বেকার এ যুবক শখের বসে গড়ে তুলেন একটি গাড়ল খামার। গাড়ল পালন করে সফলতার স্বাধ পাচ্ছেন এ যুবক।

তার খামারটি উপজেলার গাড়ল চাষিদের উদ্ধুদ্ধ করছে। এতে করে তার দেখা দেখি এলাকার বেকার, কর্মহীনরাও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছেন। চাকরির পেছনে না ঘুরে অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে গাড়ল পালনের দ্বারা সাবলম্বি হওয়ার মিশনে নিজেদেরকে জড়ানোর জন্যও প্রস্তুত হয়েছেন অনেক তরুন।

প্রথমে ১৫টি গাড়ল দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন তার খামারে রয়েছে ২৫টি গাড়ল।
আগামী ৬ মাসে তা ৬০ থেকে ৭০টিতে রুপান্তর হয়ে যাবে বলে আশাবাদ তার। প্রথমে শখের বসে পোষা এই গাড়ল জাতের ছাগল পোষতে তাকে তেমন কষ্ট না হলেও বর্তমানে তাদের পেছনেই বেশি সময় ব্যয় করে থাকেন।

জামিল জানান, বর্তমানে ২৫ গাড়ল ও ১৭টি রাম ছাগল আছে তার খামারে। প্রথমে শখের বসে গড়ে তুললেও তার এই খামার থেকে আশার আলো ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, গাড়ল পালন একটি লাভজনক ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। সময় দিয়ে একটু পরিশ্রম করলে এ থেকে অনায়াসে যে কেউই লাভবান হতে পারবেন। গুড়া, দানাদার খাবার ছাড়াও এই গাড়লরা রাস্তার ধারে কিংবা পতিত জমিতে গজিয়ে উঠা ঘাস খায়। প্রাপ্ত বয়স্ক একেকটা গাড়লে ৩০-৩৫ কেজি মাংস হয় এবং ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দরে প্রতিটি বিক্রি করা যায়।

জামিল আরো বলেন, ৬ মাস পর পর বাচ্চা প্রসব করা গাড়লের অন্যতম লাভজনক দিক। শান্ত প্রকৃতির এ প্রাণী অল্প খাবারেই তুষ্ট থাকে এবং দ্রুত বড় হয়।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর হতে সরকারি কোন সহযোগিতা, পরামর্শ পান কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এখনো নিবন্ধিত হইনি। তাই হয়তো পরামর্শ, সহযোগিতা এমনকি নূন্যতম খবরও নেয়নি কেউ এখনো।

এব্যাপারে গোয়াইনঘাটের উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.জামাল খান বলেন, যে কোন খামারি কিংবা উদ্যোক্তাদের আমরা সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। তাদের খামারে সব ধরণের পশুর ভ্যাকসিন, ওষুধসহ চিকিৎসাসেবায় আমরা নিয়োজিত আছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, খামারিসহ সব ধরণের উদ্যোক্তাদের কল্যানে সরকারের নানামুখি সহযোগিতা পরামর্শ ব্যবস্থা চালু আছে। যে কোন খামারীদের কল্যাণে সরকার পাশে থাকবে। গাড়ল পালনকারী এ খামারি তরুন জামিলের সফলতা কামনা করে তিনি বলেন,তার এ দৃষ্টান্ত উপজেলার প্রাণী সম্পদ বিভাগের সফলতার সিড়িকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বেকারত্ম দূরীকরণেরও একটি মাইলফলক বটে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর