রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য আব্দুস সোবহানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুহাম্মদ মিজানউদ্দিনের স্ত্রী মোমেনা জীনাত। মোমেনা জীনাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে পরিচালিত শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেনÑ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (পক্ষে রেজিস্টার), বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার, কোষাধ্যক্ষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সভাপতি ( শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক) ও অধ্যক্ষ।
মামলায় নিয়মবহির্ভূতভাবে পেনশনের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী নূরে কামরুজ্জামান ইরান। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়। বিচারক জয়ন্তী রাণী মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর বিবাদীদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছে। নূরে কামরুজ্জামান ইরান বলেন, বাদী মোমেনা জীনাত শেখ রাসেল মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর নিয়মবহির্ভূতভাবে তার পেনশনের ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ টাকা আটকে রাখা হয়েছে। পাওনা টাকা আদায়ে তিনি এ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোমেনা ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ ওই স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি উপাধ্যক্ষ এবং ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি অধ্যক্ষ হিসেবে পদন্নোতি পান। ২০১৯ সালের ৩০ জুন তিনি অবসরে যান।
এজহারে আরো বলা হয়, মোমেনা জীনাত অবসরে যাওয়ার পর ৩০ জুন ২০১৯ থেকে ২৯ জুন ২০২০ পর্যন্ত অর্জিত ছুটি গণনা পূর্বক অর্জিত ছুটির বিপরীতে এককালীন অর্থ ও পি.আর.এল ছুটি প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনের জবাব না পাওয়ায় পরবর্র্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর দুইবার আবেদন করেন। সেই আবেদনেও সাড়া না পেয়ে মামলার ২-৬ নং বিবাদীকে অর্থ পরিশোধের জন্য লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়। অর্থ পরিশোধ না করায় ও কোনো জবাব পাওয়া বাদী মোমেনা জীনাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আপিল দায়ের করেন।
মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাদী মোমেনা জীনাত বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পরেও আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।