× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যবস্থা নেয়ায় পুলিশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমেছে

এক্সক্লুসিভ

আল-আমিন
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

নানামুখী উদ্যোগের ফলে করোনায় পুলিশের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমে এসেছে। আগের চেয়ে দায়িত্ব পালনে সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোরতা ও দায়িত্বশীলতা, রাজারবাগ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা প্রদান, পিপিই ব্যবহার বাড়ানো, আইসোলেশনের সংখ্যা বাড়ানো এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সেলফ মোটিভেশনের কারণে করোনাতে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার কমে এসেছে। করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সামনের সারিতে রয়েছেন তারা। এ কারণে এই বাহিনীর সদস্যরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সর্বশেষ গত ৮ই সেপ্টেম্বর পুলিশের এক সদস্য করোনায় মারা যান। এ পর্যন্ত পুলিশের ৭৪ সদস্য প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। করোনাতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৩০ জন সদস্য।
এরমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্য রয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৯৯৬ জন। সূত্র জানায়, এছাড়াও এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৮১৪ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়েছেন। পুলিশে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৪২৩ সদস্য করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৫ হাজার ২৯ জন। করোনায় আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ সুপার (এসপি), অতিরিক্ত এসপি, সহকারী এসপি থেকে পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শক (এসআই), এএসআই ও কনস্টেবলরা। দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে বিভিন্নস্থানে করোনা রোগীকে তার নিজের আত্মীয়রাই যখন ফেলে রেখে গেছে তখন পুলিশ নিজেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মৃতদের লাশ দাফন করেছে। করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধে বেশ প্রশংসা পেয়েছে পুলিশ। এখনও তারা মাঠে কাজ করছে। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা মানবজমিনকে জানান, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও রাজধানী এবং বিভাগীয় শহরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনায় সরকারের নির্দেশনা কী- মাঠ পর্যায়ে পুলিশ জনগণের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও লকডাউন কার্যকরের ক্ষেত্রে তারা বড় ভূমিকা রেখেছে। এতে তারা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও করোনা আক্রান্তদের বাড়ি এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরক্ষা সামগ্রী ও পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক সরবরাহ করেছে তারা। তবে ইতিমধ্যে পুলিশে করোনা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। সদস্যদের মধ্যে পিপিই প্রদান করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। উন্নত মানের মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়াসহ সব পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার পর্যাপ্ত উন্নত সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, করোনায় প্রথমদিকে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। তখন লকডাউন চলছিল সারা দেশে। লকডাউন কার্যকরের ক্ষেত্রে পুলিশের গঠনমূলক ভূমিকা ছিল। সেই সময় তারা বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর