খবরে বলা হয়, প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে চীনের সিনোফার্ম টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয় বাহরাইনে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ট্রায়ালে সম্পৃক্ত হয়েছে কমপক্ষে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। বাহরাইন আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী সেন্টারে এই ট্রায়াল সম্পন্ন হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সকলের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে সতর্কতামূলক ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধ ও এর বিস্তার সীমিত করার চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই ট্রায়াল চলছে।
বাহরাইনে সিনোফার্মের যেই টিকার ট্রায়াল চলছে, সেটিকেই সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল রাহমান আল ওয়াইস বলেন, পরীক্ষাধীন এসব ভ্যাকসিন শুধু জরুরী ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে।
বাহরাইন মঙ্গলবার ৬৭৮ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান পেয়েছে। তবে রোগ থেকে সেরে উঠেছে পূর্বের ৬২৭ জন রোগী। বর্তমানে দেশটিতে ৬১, ৬৪৩ জন করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত রোগী রয়েছেন দেশটিতে। ৫৪ হাজারেরও বেশি সেরে উঠেছেন। ২১৩ জন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার বাহরাইন সকল ভ্রমণকারীর জন্য কিং ফাহাদ সড়ক খুলে দিয়েছে। তবে বাইরে থেকে ঢুকতে হলে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে ঢুকতে হবে।
সড়কে ঢুকার আগেই ভ্রমণকারীদের জন্য ভাইরাস টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতি পরীক্ষার জন্য ৬০ বাহরাইনি দিনার গুনতে হবে প্রত্যেককে। এছাড়া তারা ‘বিঅ্যাওয়ার বাহরাইন’ নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করবেন ও স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে যাবেন। নেগেটিভ টেস্ট আসার আগ পর্যন্ত তারা আইসোলেশনে থাকবেন। এছাড়া বাহরাইনে পৌঁছার ৭২ ঘণ্টা আগে কভিড-১৯ টেস্ট করে নেগেটিভ ফলাফলের সনদ নিয়েও ঢুকতে পারবেন ভ্রমণকারীরা।