বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে উঁকি দিলো আশার আলো। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রস্তাবের বেশিরভাগই শ্রীলঙ্কা মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো। বিসিবি’র দাবি ছিল, শ্রীলঙ্কায় সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবে বাংলাদেশ এবং সে সময়টায় অনুশীলনের সুযোগ দিতে হবে। এ দাবি মেনে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিকে জানিয়েছে, কোয়ারেন্টিন ১৪ দিনই থাকছে। এর মধ্যে সাত দিন কোয়ারেন্টিনের সময়টা বাংলাদেশে পালন করতে হবে। এই সময়ে অনুশীলনও করতে পারবেন মুমিনুল-মুশফিকরা। বাকি সাত দিন কোয়ারেন্টিন হবে শ্রীলঙ্কায়।
এসএলসি’র এমন প্রস্তাবে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের সম্ভাবনা বাড়লো। এখন অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।
জানা গেছে, ঢাকার বাইরে অবস্থানরত ক্রিকেটারদের ঢাকায় আসতে বলেছে বিসিবি। এটা ইতিবাচক দিক বলেই মনে করছেন দেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর আবাসিক ক্যাম্প শুরু হবে বাংলাদেশ দলের। চলবে ২৭শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সাতদিন বাংলাদেশ দলের প্রথম ধাপের কোয়ারেন্টিন বলে ধরা হচ্ছে। ২৭শে সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিমান ধরার কথা রয়েছে মুমিনুল-মুশফিকদের। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ থেকে ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত আরেকটি কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড থাকবে। শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে প্রথম দফার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে। ফল পাওয়ার আগে পর্যন্ত হোটেলেই কাটাতে হবে ক্রিকেটার, কোচ ও সংশ্লিষ্টদের। যাদের ফল নেগেটিভ আসবে তারা ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলনে নেমে পড়বেন। ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত দূরত্ব বজায় রেখেই অনুশীলন করতে হবে টাইগারদের। এরপর দলীয় অনুশীলন। বিসিবি চেয়েছিল খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফসহ ৬৫ জনের বহর নিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে। এসএলসি সেটা নাকচ করে দিয়েছে। তাদের চাওয়া, সংখ্যাটা রাখতে হবে ৩৫ থেকে ৪০ জনের মধ্যে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা আগামী ২৩শে অক্টোবর। সিরিজ শুরুর আগে ১৮-২০শে অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে টাইগারদের একটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।