× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সরে দাঁড়ানোর কথা বলে কাঁদলেন বাদল রায়

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে কাজী মো. সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সভাপতি পদে মনোনয়ন কিনেছিলেন বাদল রায়। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনে স্ত্রীকে পাঠিয়ে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেন বাফুফের বর্তমান এ সহ-সভাপতি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বাদল রায়ের আবেদন গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। তাই আজ (শুক্রবার) অন্যসব কারণকে পাশ কাটিয়ে নিজের অসুস্থতাকে সামনে এনে আবারো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাদল রায়। মোহামেডান ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, আমি দীর্ঘদিন বাফুফের সঙ্গে ছিলাম। ফুটবলের অনেক কিছুর সঙ্গেই জড়িত ছিলাম। আমার কষ্ট লাগছে। ফুটবল ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।
তারপরও আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফুটবল ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’

দ্বিতীয় দফা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও সভাপতির ব্যালটে নাম থাকছে বাদল রায়ের। কাউন্সিলররা চাইলে তাকে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচনে বিজয়ী হলে সভাপতির চেয়ারেও বসতে হবে তাকে। সেটা জেনে বাদল রায় বলেন, ‘সারাদেশের কাউন্সিলর, ডেলিগেটরাই ফুটবলের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। তৃণমূলের সংগঠকদের জন্য আমি খুব চিন্তা করি। তারা আমাকে খুব ভালবাসতো। তৃণমূলের সংগঠকরা কষ্ট পাবে। আমার কষ্ট লাগছে যে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমার ব্যক্তিগত সমস্যা। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আমি আমার তৃণমূলের সংগঠকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারবো না। আমার শরীর খারাপ। এটা আমার জানানো দরকার, জানিয়ে দিয়েছি। এখন কাউন্সিলররা সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা কি করবেন। আমি অনেক কষ্ট নিয়ে সরে দাঁড়াচ্ছি। প্রশ্ন আসছে কেন আবার সংবাদ সম্মেলন করছেন। কারণ হচ্ছে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনে আমার স্ত্রীর এক ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে সেখানে যেতে। সময় বেশি লেগেছে। সময় চলে যাওয়ার কারণ আইনগতভাবে একটা সমস্যা হয়েছে। তাই আমারা এখানে এসেছি একই কথা বলতে। তবে আমার মনে হয় সালাউদ্দিন সাহেব পারতেন এই সমস্যার সমাধান করতে। কারণ তার ক্ষমতা অনেক। আমাকে কেন হয়রানি করছেন, আমি জানি না। আমি মনে করি সবাই নির্বাচন করবেন। ইনিও এটা ফেস করতে পারবেন বলে আমি মনে করি।’

নিজে নির্বাচনে না থাকলেও বাকি দুই সভাপতি প্রার্থীর কাউকে সর্মথন দেবেন কিনা জানতে চাইলে বাদল রায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। শুধু তৃণমূলের সংগঠকদের জানাতে এসেছি আমি নির্বাচনে নাই। তৃণমূলের সংগঠকরা আমাকে অনেক ভালবাসে। তাই তাদের কাছে আমার অবস্থান পরিষ্কার করতে এখানে এসেছি।’ স্ত্রী মাধুরী রায়কে পাশে নিয়ে বাদল রায় কাউন্সিলদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যারা কাজ করবে না, তাদের দয়া করে আপনারা ভোট দেবেন না। এটাই আমার অনুরোধ।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর