× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভেন্যুর অভাবে ধুঁকছে রোয়িং

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার

জাতীয় নৌকাবাইচ চ্যাম্পিয়নশিপ বুড়িগঙ্গা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের খেলাগুলো হয় হাতিরঝিলে। আবার বিদেশে কোনো গেমসে অংশ নেয়ার আগে রোয়ারদের যেতে হয় কলকাতায়। নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু না থাকায় যাযাবরের মতোই খেলতে হয় তাদের। এ নিয়ে আফসোসের কমতি নেই রোয়িং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. খোরশেদ আলমের। তিনি বলেন, ‘৪৭ বছর ধরে দেশে রোইং খেলা চলছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যু নেই। যাযাবরের মতোই ঘুরে ফিরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হয়।
উত্তরার ১৮ নম্বর লেকটা যদি আমাদেরকে ভেন্যু হিসেবে দেয়া হতো, তাহলে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে আরও পদক এনে দিতে পারতাম।’
২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আগে কলকাতায় গিয়ে অনুশীলন করতে হয় রোয়ারদের। চার বছর পর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়াডের আগেও সেই কলকাতাতেই যেতে হয় আমিনুল ইসলাম মিঠুকে। প্রায় এক মাস অনুশীলনের পর ইন্দোনেশিয়ার পালেম্বাংয়ে পুরুষদের লাইটওয়েট সিঙ্গেল স্কালকে অংশ নেন তিনি। পালেম্বাংয়ের জাকাবারিং লেকে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার এক নম্বর হিটে ১০ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে ছয় জনের মধ্যে ষষ্ঠ হন তিনি। যেখানে স্বর্ণপদক জেতা দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক হুন সু’র টাইমিং ছিল ৭ মিনিট ১৩ সেকেন্ড। অথচ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে দু’চারটি পদকও রয়েছে লাল সবুজের রোয়ারদের। ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত সেন্ট্রাল এশিয়ান রোয়িং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপা জিতেছিল বাংলাদেশ। গত বছর কলকাতায় ইনডোর রোয়িংয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে খেলতে যান বাংলাদেশের রোয়াররা। কিন্তু পদকের দেখা মেলে না। জাতীয় রোয়িং দলের খেলোয়াড় মারুফ খান বলেন, ‘যাযাবরের মতো বিভিন্ন নদী ও লেকে আমাদের খেলতে হয়। নির্দিষ্ট একটি ভেন্যু খুবই প্রয়োজন। আমরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়ছি।’ খোরশেদ আলম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমরা বাংলাদেশ নৌকাবাইচ সমিতি গঠন করেছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে বলেন, এই নামে প্রতিযোগিতা করা যাবে না। তোমরা রোয়িং ফেডারেশন তৈরি করো। উনার নির্দেশেই ১৯৭৪ সালে আমি রোয়িং ফেডারেশনের দায়িত্ব নিই। কিন্তু গত ৪৭ বছরেও কোন ভেন্যু পাইনি আমরা। আমার মনে হয়, উত্তরার ১৮ নম্বর লেকটা যদি গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি অনুমোদন নিয়ে দিতেন, তাহলে আগামী প্রজন্ম একটি স্থায়ী ভেন্যু পেয়ে যেতো।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর