× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আল্লামা শফীর ইন্তেকাল

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার

হেফাজতে ইসলামের আমীর, উপমহাদেশের খ্যাতিমান আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয় তাকে। গত রাতে তাকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। শতবর্ষী এই আলেমের মৃত্যুর সংবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে কওমি মাদ্রাসায় শোক নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া রাজনীতিবিদ, আলেম-ওলামাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। আল্লামা শফী পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামের বিখ্যাত হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এরমধ্যে শেষ ৩৪ বছর মুহতামিম বা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। গত দু’দিন ধরে তার ছেলে আনাস মাদানীর অপসারণসহ কয়েক দফা দাবিতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলন চলছিল। গত রাতে হাসপাতালে ভর্তির আগে তিনি পদত্যাগ করেন। যদিও মাদ্রাসার শূরা তাকে আজীবনের জন্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করে। কওমি শিক্ষায় আল্লামা শফীর দীর্ঘদিনের খ্যাতি রয়েছে। তিনি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে আল্লামা শফী আলোচনার শীর্ষে আসেন হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দিয়ে। ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিচারসহ ১৩ দফা দাবি নিয়ে তার নেতৃত্বে মাঠে নামে হেফাজত। এরপর গত আট বছর আলোচনায় ছিল হেফাজত। সমানভাবে আলোচনায় ছিলেন আল্লামা আহমদ শফীও। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন অগ্রণী ভূমিকায়। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে। তার বাবার নাম বরকম আলী, মা মোছাম্মাৎ মেহেরুন্নেছা বেগম। আহমদ শফী দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। তার দুই ছেলের মধ্যে আনাস মাদানী হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক। অন্যজন মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ পাখিয়ারটিলা কওমি মাদ্রাসার পরিচালক। আল্লামা শফীর শিক্ষাজীবন শুরু হয় রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায়। একপর্যায়ে পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। ১৯৪০ সালে তিনি হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে তিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় যান, সেখানে চার বছর লেখাপড়া করেন। ১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন আহমদ শফী। আল্লামা শাহ আহমদ শফী বাংলায় ১৩টি এবং উর্দুতে ৯টি বইয়ের রচয়িতা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর