× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২০ টাকার জন্য যুবলীগ নেতার আঙুল কাটলো ছাত্রলীগ নেতারা

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০, শনিবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

চায়ের দোকানে বিল পরিশোধ করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মুজাহিদুর রহমান অন্তু নামের এক যুবলীগ নেতার হাতের চারটি আঙুল কেটে নিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবলীগ নেতাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহত যুবলীগ নেতা সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইটাগাছা এলাকার আবুল হাসানের ছেলে। গত বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন যুবলীগ নেতার বাবা।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ হোসেন শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত গিয়াজউদ্দীনের ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি, জাহিদ হোসেন একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সোহেল রানা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার বাবু তালুকদারের ছেলে।

অন্তুর বাবা আবুল হাসান জানান, বুধবার সকালে শহরের বাকাঁল এলাকায় রোজ মার্কেটের এক চায়ের দোকানের বিল পরিশোধের জন্য আমার ছেলে মুজাহিদুর রহমান অন্তুর কাছ থেকে ২০ টাকা দাবি করে ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ হোসেন, জাহিদ হোসেন ও সোহেল রানা। তাদের দাবিকৃত ২০ টাকা দেয়ার পরও তাদের সঙ্গে আমার ছেলের মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন দুপুরে অন্তু প্রয়োজনীয় কাজে শহরের উদ্দেশে রওনা দিলে রাস্তায় নাহিদ, জাহিদ, রানাসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন ধারালো অস্ত্রহাতে পথরোধ করে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তিনি আরও বলেন, তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তুর বাম হাতের চারটি আঙুল কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকে।
তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তুকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাত থেকে আঙুল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আছাদুজ্জামান বলেন, যুবলীগ নেতার বাম হাতের আঙুল কেটে নেয়ার ঘটনায় আহতের বাবা আবুল হাসান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনজন এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর